তুমি অহেতুক রাগো যখন,
নাবালক শিশুর মতন,
আমি মনে মনে হাসি,
তোমার রাগ যে বড় ভালোবাসি!
আমি জানি তোমার রাগ আসলে রাগ নয়,
এ যে ভালোবাসার আরেক রূপ নিশ্চয়,
তোমার রাগের অন্তরে মমতা লেপটে থাকে,
যেমন থাকে রংধনু ঐ আকাশের বুকে!
তোমার রাগ অগ্নিগিরির মতন আচমকা আসে,
আবার মেঘের মতই যায় মিলিয়ে মনের আকাশে!
রাগ করাটা কি তোমার শখ,
নাকি মানসিক সমস্যা কোনও?
আমি এর কারণ খুঁজে পাই না!
কথায় কথায় এতো রেগে যাও কেন?
কিসের অভাব তোমার বলো?
আকাশের মত সীমাহীন প্রেম বুকে,
তোমার জন্য, চাইলে অকাতরে দিতে পারি প্রাণ,
তবে কেন ভুগছো এমন আজব অসুখে?
“ক্রোধ মানুষের পরম শত্রু”, যেও না ভুলে,
নাও না টেনে কাছে, ‘ভালোবাসি’ বলে!
আমি দোষ করলে রাগো,
তাতে কোনও বাধা নেই,
বাচ্চার মত অহেতুক রাগো যখন,
মনটা ভীষণ খারাপ হয় সেই মুহূর্তেই!
মেয়েরা কি এমনই হয়?
তা তো মনে হয় না!
প্রেমিকারা কি প্রেমিকদেরকে,
মানসিক চাপে রেখে পায় সান্ত্বনা?
কে জানে? হয়তো তাই, হয়তো না!
এতো মনস্তাত্ত্বিক খেলা যে ভালো লাগে না!
তুমি কি খুব রাগ করবে?
যদি অফিস থেকে ফিরে,
তোমার গালে চুমু দিতে ভুলে যাই,
তুমি কি তখন বড্ড অভিমানী হবে?
যদি তোমার জন্মদিন ভুলে যাই,
কিংবা প্রথম চুম্বনের ক্ষণ,
যদি তোমার সাথে ছাদে না যাই ভরা পূর্ণিমায়,
যদি খুব শব্দ করে চা খাই।
তুমি কি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে?
যদি কোনও সুন্দরীর পাণে চাই,
অথবা কথা বলি কোনও স্মার্ট ললনার সাথে,
তোমার চোখে কি তখন কষ্টের নদী বইবে?
যদি তোমায় কোনও উপহার না দেই,
তুমি কি কথা বলা বন্ধ করে দেবে?
যদি ক্যান্ডেল-লাইট ডিনার না করি,
যদি তোমার বুকের কষ্টের পিরামিড আমি আলিঙ্গনে না ভেঙ্গে দেই।
যদি আমি পথহারা পথিকের মত খুব দেরী করে বাসায় ফিরি,
যদি তোমার হৃদয়ের ব্যাংকে জমানো কথা না শুনি মন দিয়ে,
তুমি কি খুব বিরক্ত হবে?
তোমার রাগের প্রাসাদ কি ভাঙবে যদি ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলি, “সরি”।
তুমি যাও রেগে যখন,
তোমার গাল দুটো হয় লাল রক্তজবার মতন,
চোখ দিয়ে যেন আগুন দেয় উঁকি,
আমি নির্বাক শিশুর মত তাকিয়ে দেখি।
তোমার রাগ তোমার সৌন্দর্য বাড়ায়,
গোলাপের মত লাল ঠোট আরও লাল হয়,
কোকিল কণ্ঠ হয় তখন কাকের ডাক কর্কশ,
আমি যেন অধীন তোমার, তুমি আমার বস।
তোমার রাগ কি উপহার এক না অভিশাপ কোনও?
জানিনা এখন তা, মনে হয়না পারব জানতে কখনো।