ভাইয়া,
কেমন আছ তুমি? আমাকে চিনতে পারছো তো? সেই যে বই মেলায় তোমার সাথে দেখা হয়েছিল! তুমি একটা বইয়ের দোকানে বসে ছিলে। আমি গিয়ে তোমার আটোগ্রাফ নিলাম। তুমি বইয়ের প্রথম পাতায় লিখে দিলে, শাওনকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা- হুমায়ূন আহমেদ। আমি কতজনকে যে দেখিয়েছি তোমার সেই লেখা। সবাইকে বলেছি যে তোমার সাথে আমার দেখা হয়েছে। এরপরে অনেক বছর চলে গেছে। তোমার লেখা দিয়ে আমার উপন্যাস পড়ার যাত্রা শুরু। এখন নিজেও একটু লিখতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমার লেখার আদর্শ যে তুমি ভাইয়া। যখনই লিখতে বসি তখনই মনে হয়, আমার জায়গায় তুমি হলে কিভাবে লিখতে? জানি পারি না, তারপরেও তোমার লেখার ধরণ মাথায় রেখে লিখলে আমার অনেক সুবিধা হয়।
তোমাকে তো বলাই হয় নি, আমার পড়া তোমার প্রথম উপন্যাস হল, ‘নবনী’। তোমার লেখা খুব কম বইই আছে যা আমি পড়িনি। বই মেলায় গিয়েছি অথচ তোমার লেখা পড়িনি সেটা কখনও হয় নি। ‘অপেক্ষা’ আর ‘আশাবরী’ এই দুইটা আমার সবচেয়ে প্রিয়। অনেকবার পড়ে ফেলেছি কিন্তু এখনও পড়ে যাই।
ভাইয়া তুমি কি জান কেন তোমার লেখা আমার এত ভাল লাগে? তোমার লেখার প্রতিটা চরিত্রকে যে আমি আমার আশে পাশেই দেখতে পাই। কখনও কখনও পড়তে গিয়ে মনে হয়, আরে এইটা তো আমিই। ভাইয়া জানলো কি করে?
পুনশ্চঃ তোমাকে অনেক দেখতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। তুমি জলদি চলে এসো আমাদের কাছে।
ইতি,
তোমার ছোট ভাই
শাওন