আমার রাদিত, আমার সায়ান!

আমার রাদিত, আমার সায়ান!

 

আজকে আমি তোমাদের জন্য লিখছি। কাল রাতে শুয়ে শুয়ে অনেক্ষণ ধরে তোমাদের দুইজনের কাছে চিঠি লিখছিলাম। মনে মনে। কারণ অন্ধকার ঘরে তো আর কাগজ কলম ছিল না। আমি প্রায়ই এই কাজটা করি। এর ফলে কি হয় জানো? সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে যখন আবার চিন্তা করি রাতে কি ভেবেছিলাম? তখন আইডিয়াটা মাথায় থাকলেও, যেমন সুন্দর করে মনে মনে এক এর পর লাইন সাজিয়ে যাচ্ছিলাম সেগুলো আর সেইভাবেই মনে থাকে না। এখন আমার মনে আছে আমি তোমাদের দুইজনের কাছে চিঠি চিখেছিলাম। কি কি কথা বলেছিলাম সেটা না এখন হুবহু মনে নেই। কিন্তু তাতে কি? তোমরা তো আমার সামনেই আছো। তোমাদের নিয়ে লিখতে অসুবিধা কি? তাই তো ‘অণু’, ‘পরমাণু’ কাকে বলে, সেইগুলো অনলাইন ক্লাসে পড়িয়ে তোমাদের লিখতে বসলাম। আমি যখন এটা লিখছি, তখন রাদিত এবং সায়ান, তোমরা দু’জনেই অনলাইন ক্লাসে ব্যস্ত। তোমাদের অগোচরেই লিখছি। পোস্ট যখন করে দিবো তখন তো দেখতে পারবেই। আজকে তোমাদের কে একটা ছেলের গল্প বলবো। ছেলেটার জীবনের কিছু ইতিবৃত্ত দুই চার কথায়।

 

ছেলেটা চাইতো ফ্যামিলির সাথে সবসময় মিলেমিশে থাকতে। বাবা মা সহ ফ্যামিলির সবার সাথে একসাথে থাকাটা পছন্দ করতো। সবাইকে অগাধ বিশ্বাস করতো। যেমন বিশ্বাস করতো বন্ধুদের, তেমন বিশ্বাস করতো বাবা মায়ের দেয়া আশ্বাস গুলোকে। কিন্তু এই বিশ্বাসের মূল্য তাকে অনেক কঠিন ভাবে শোধ করতে হয়েছে। আজকে ছেলেটা ভিত্তিহীন, ঠাঁইহীন। ছেলেটার পৈত্রিক কোন ভিটাতো দূরের কথা, তার বাবার পরিচয়ও আর কাউকে দিতে পছন্দ করে না। ভাগ্যের কি পরিহাস জানো? ছেলেটার বাসা আর তার বাবার বাসা যদিও  একই এলাকায়, মাত্র কয়েকটা বাসার পরেই, এই দুরত্ব হেঁটে গেলে তোমাদের জন্য দুই তিন মিনিটের বেশী না। কিন্তু মনের থেকে দূরত্ব কয়েক আলকবর্ষ হয়ে গেছে। ছেলেটার দোষ যদি দিতে চাও, দিও। কোন মানা নেই। ছেলেটা আগেও যেমন সব নির্বিবাদে মাথা পেতে নিয়েছে, এখনও নিবে। তার কোন অসুবিধা নেই। ওর একটা ভাই ছিল। বয়সে প্রায় সাত বছরের ছোট হওয়া সত্ত্বেও এমন আচরণ করেছে যেগুলা তোমরা কিভাবে নেবে আমি জানি না। ভাইটা তার ফেসবুকের একটা পোস্ট এ লিখেছিল, যার ভাবার্থ অনেকটা, ‘তোরা যেসব কুত্তা ফেসবুকে লেখালিখি করিস, পারলে সামনে এসে বলিস, গলার নলি ছিঁড়ে ফেলবো’। এই ছোট ভাইটিকে এখনও তার বাবা মা সমস্ত অন্যায় করা সত্ত্বেও সবকিছুতেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, এখনও দিচ্ছে, এবং ভবিষ্যতেও দিয়েই যাবে। সে এবং তার স্ত্রী, বড় ভাই ভাবীর প্রতি অযাচিত অনেক নোংরা আচরণ করা সত্ত্বেও কোন প্রতিকার বাবা মা করেনি এবং বড় ছেলেটাকে তার দুই বাচ্চাসহ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। কোন কিছু না দিয়েই। যে ভাষা বাবা প্রয়োগ করেছিল, সেটা এতটাই কলুষিত ভাষা, যেটা এখানে উল্লেখ করা সমীচীন মনে করছি না। রেকর্ডিং করা আছে। রেকর্ডিং টা দ্বীতিয়বার শোনার ইচ্ছা ছেলেটার হয়নি।

 

এমন এমন কিছু কথা এই পরিবারের বাবা মা ঘটিয়েছেন, সাথে ছোট ছেলে এবং তার স্ত্রীর যোগসাজশে যে সেগুলো এখানে বিস্তারিত উল্লেখ করলে একটা উপন্যাস হয়ে যাবে। আমি তোমাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না। এই ছেলেটা মনে হয় অচ্ছুৎ টাইপের কিছু। যার কারণে তার বাবা মা তার সাথে এমন আচরণ করেছে। হতে পারে। ঘটনা যা যা ঘটেছে, সেগুলো ক্রমাগত নিজের মধ্যে হজম করতে করতে মাঝে মাঝে যখন অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে, তখন ছেলেটা কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। মানসিক স্থিরতা ধরে রাখতে পারে না। ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই, এবং দেশে আশার পর থেকেই ছেলেটার বাবার একটাই টার্গেট ছিল, ছেলে ভাল ভাল ইনকাম করবে আর সমুদয় টাকা বাবার হাতে তুলে দিয়ে, পারলে নিজের দরকারী টাকাটার জন্যও বাপের কাছে হাত পেতে বসে থাকবে। দেশে আশার পর প্রায় দেড় বছর যাবত, যে সব আচরণ করেছে ছেলেটার সাথে আর তার স্ত্রীর সাথে, সেটা কোন সুস্থ মানুষ বেশীক্ষণ শুনতে পারবে বলে মনে হয় না। ছেলেটার বাবা, এমন কোন পরিচিত গন্ডি বা বাকী রাখে নাই, যেখানে গিয়ে এই বড় ছেলে আর তার ছেলের বৌর নামে অযাচিত রটনা আর দুর্নাম না করেছে। যা হয়েছে, সেটাকে কথার মারপ্যাচে এমন ফুলিয়ে ফাপিয়ে বলে বেড়ায় মানুষের সামনে, যে সবাই ভাবে, ছেলেটাই খারাপ আর উনারা সবাই ফেরেশতা। ছেলেটা এখন বাধ্য হয়ে একাই আছে এবং একরম শুন্য থেকেই আবার জীবন শুরু করে। আসলে করতে বাধ্য হয়েছে। আল্লাহ চালিয়ে নিচ্ছেন। ছেলেটার একটা আপন বোনও আছে, যে কিনা ওর চেয়ে ৯ বছরের ছোট। ছেলেটার বাবা সম্প্রতি (রোজার ঈদের দিন,২০২০) নিজের মেয়ের বয়সী বা তার চেয়েও কম হলেও অবাক হবো না, একটা ‘দুই বাচ্চার মা’ কে বিয়ে করেছে। ছেলেটার মায়ের সাথে কিন্তু তার ইতিমধ্যেই ৪১ বছরের সংসার গত হয়েছে। ঘৃণায় মন অত্যাধিক বিষিয়ে যাওয়ায় ছেলেটা বাধ্য হয়ে তার ‘বাবা’র সাথে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছে। তবুও উনারা দুইজনেই দূর থেকে ছেলেটাকে নানা ধরণের মানসিক অশান্তি দিতে কোন রাস্তা বাদ রাখছে না। ছেলেটার গল্প আপাতত এখানেই শেষ করি। ছেলেটা আমিই।

 

জানুয়ারী মাসের ‘বাবা’র বাসা চিরতরে খালি হাতে ত্যাগ করে চলে আসি। এরপর যেহেতু ঘরের কোন সন্ধান ছিল না, সেহেতু শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠি, সেখানে প্রায় মাসখানেক থেকে মার্চ মাসে প্রথম ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠি। উঠার দুই সপ্তাহের মধ্যেই করোনার জন্য কোয়ারেন্টাইন শুরু হয়ে যায় এবং তোমরা জানো এখনও সেটাই চলছে। এরপর এলো রমজান মাস। আল্লাহ অশেষ দয়া, সেই রমজান মাসেই তোমাদের দুইজনের সাথে আমার পরিচয়। গ্রুপে তো আরো অনেক মানুষ ছিল, কিন্তু তোমাদের দুইজনের সাথেই আমার এত ভাললাগা তৈরী হল কেন জানো? আল্লাহ চেয়েছিলেন আমার জন্য একটা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে। আর তোমরা ছিলে সেই আশ্রয়। আমার পরম নির্ভরতার জায়গা। তোমরা আমাকে আপন করে নিয়েছো, আর তোমাদের কাছে আমি আমাকেই দিয়ে দিয়েছি। আমার জীবনের কোন পরিকল্পনা এখন তোমাদের ছেড়ে হয় না। আমার মন খারাপ হলেও তোমাদের কথা, কোন আনন্দ হলেও তোমাদের কথাই মনে পড়ে। অন্য কারো না। অন্য কোন বন্ধু বান্ধবের কথাও না। এজন্যই আল্লাহ তোমাদের সাথে হয়ত আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তোমাদের জন্য আমার ভেতরে সারাক্ষণ কি চলে, আমি কেমন বোধ করি, সেটা ব্যাখ্যার অতীত। আমার সারাক্ষণ মনে হয়, তোমাদের দুইজনকে আমি যদি সারা জীবনের জন্য কোন একোটা শো-কেস এ ভরে রাখতে পারতাম! তাহলে আমার বাকি জীবনটা আমি শুধু তোমাদের দিয়ে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতে পারতাম। আমার পরম নির্ভরতার দুই ভাই তোমরা, আমার পরম মানসিক আশ্রয় তোমরা। আমার প্রচন্ড আক্ষেপের সান্ত্বনা তোমরা। আমি আমার কোন কিছুই তোমাদের সাথে পরামর্শ ব্যতিরেকে করতে পারি না এখন। যদি দেখো আমি লক্ষ্যচুত হয়ে যাচ্ছি, সাথে সাথে আমাকে শুধরে দিও। আমি ছোটবেলা থেকেই কারো না কারো উপরে মানসিক ভাবে নির্ভর করতে ভালবাসি। একা একা কিছু করতে গেলে আমার ভাল লাগে না। আমি পারি না।  আর দরকার কি? তোমরা থাকতে আমি কেন একা হব?

 

রাদিত আর সায়ান! তোমরা দুইজন আমার দুই অংশ। কেমন জানো? আমি মাঝে মাঝে ব্যাপারটা চিন্তা করি। বেশ মজা লাগে লাগে। একজন মানুষ কখনও নরম থাকে, আবার কখনও কঠিন আচরণ করে। অর্থাৎ কখনও মানসিক ভাবে নরম, আবার কখনও প্রচন্ড অদম্য মানসিক শক্তি দিয়ে এগিয়ে যায়। রাদিত হল আমার সেই নরম মনের অংশটা! আর সায়ান হল আমার কঠিন অংশটা। আমি কি বুঝাতে চাইলাম সেটা কি বুঝতে পারলে? আমি বুঝাতে চেয়েছি, তোমরা দুইজন আমার ঠিক কোথায় আছো! আমার একদম অস্তিত্বের মধ্যেই মিশে আছো। কঠিন আর কোমল দুই জায়গাতেই তোমরা আমার সাথেই আছো। তোমরা কখনই আমার থেকে দূরে নও। সারাক্ষণ আমার কাছে আমার সাথে আছো। আমার কোন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হলে, চোখ বন্ধ করলেই তোমাদের দেখি। তখনও কত রকম কথা বলে ফেলি। তোমাদের মুখের দিয়ে তাকিয়ে অসম্ভব সিদ্ধান্ত নেয়াও আমার জন্য কোন অবাস্তব কিছু নয় এখন। সাঁতার না জানা পানিতে ডুবন্ত মানুষ, এক টুকরা ভাসমান কাঠ খন্ড দেখলে সেটাকে জাপতে ধরে যেমন জীবনের আশা নিয়ে বেঁচে উঠতে চায়, তেমনি আমি তোমাদের দুইজনকে আঁকড়ে ধরে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত বাঁচতে চাই। আর এটা তো সত্যি কথাই, আমি সাঁতার জানি না, তোমরা দুইজনেই সাঁতার জানো। আমি যদি ডুবে যাই, প্রতিনিয়তই ডুবে যাই, পারবে না আমাকে তুলে আনতে তোমরা? পানিতে ডুবে যাওয়া’র কথা নয়, নিজের অস্তিত্ত্বের চোরাবালিতে ডুবে যাবার কথা বলছি। পারবে না টেনে তুলতে আমাকে? পারবে না আমার অতীত আর ভবিষ্যতের মধ্যে একটা সেতু বানিয়ে দিতে? আমি তোমাদের দুইজনের দিকে তাকিয়ে আছি। এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে, তোমাদের মধ্যে ছাড়া আর কোথাও আমার মানসিক নির্ভরতা খুঁজে পাইনি আমি এমন করে।  

 

রাদিত এবং সায়ান! যদি গবেষণার কথাই বলি, তাহলে বলি, আমার কাছে গবেষণা কোন কিছুই না। গবেষণার সূত্র ধরে হলেও তোমাদের কাছে পাওয়াই আমার কাছে মূখ্য। যে লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে আছি, সেই লক্ষ্যে যেন তোমাদের দুই ভাইকে আমি দেখতে পারি, সেটাই আমার উদ্দেশ্য। তোমাদের পাওয়া মানেই আমার পাওয়া। আমার সব স্বপ্ন আর পরিকল্পনা, সেটা যদি অ্যাকাডেমিক্স নিয়েই বল, সেটাও সব তোমাদেরকে কেন্দ্র করে। আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গবেষণা রিলেটেড যদি কখনো কিছু করি, সেটার একচ্ছত্র অংশিদারিত্ব তোমাদের থাকবে। কোন কাজে ব্যস্ততার কারনে, কোন ইমার্জেন্সিতে কিংবা বাইরের ভার্সিটিতে পড়াকালীন ইনশাল্লাহ, যদি কোন কাজে ব্যস্ত থাকাতে, একটা লাইনও লেখার বা দেখার সুযোগ নাও পাও তবুও আবার সব সায়েন্টিফিক কাজেই তোমাদের নাম থাকবে ইনশাল্লাহ। কারণ আমার কঠিন আর কোমল অংশটা নিয়েই তো আমি। তোমরা তো আমার সেই হাত, যেই হাত দিয়ে আমি লিখি, আমার সেই চোখ যা দিয়ে আমি দেখি, আমার সেই মাথা, যা দিয়ে আমি চিন্তা করি। তোমরা একজনও যদি না থাকো, তাহলে আমার হাত, চোখ, মাথা, কিছুই তো রইলো না। কি লিখবো আমি? কাকে লিখবো আর কিজন্যই বা? তোমরা কি বুঝতে পেরেছো, আমার কাছে তোমরা আসলে দুইজনে কি? যতদিন তোমাদের সামনে আছি, ততদিন আমি সবকিছুতে তোমাদের সাথে আছি। আর যখন চলে যেতে হবে, তখনও আমি হয়ত দূর থেকেই তোমাদের জন্য শুভাশিস দিতে থাকবো। আল্লাহ যদি আমাকে একটা ঘর দেন, তো সেই ঘরে আমি তোমাদের জন্য দুটা কামরা চেয়েই রাখবো। আল্লাহ জানেন সেটা। উনাকে তো নতুন করে বলার কিছু নাই। উনি এটাও জানেন তোমাদের ছাড়া আমি এক মুহুর্তও থাকতে পারবো না।  

 

সায়ান! এবার শুধু তোমাকেই বলি! রাদিত আমাদের সবার ছোট। তোমার থেকে বেশী ব্যবধান না হলেও তোমার ছোট। তোমরা দুইজন যেমন আমার দুই পাঁজরের মধ্যে থাকো, তুমি রাদিতকেও সেভাবেই আগলে রাখবে। আমি থাকি আর না থাকি, রাদিত যেন জানে, সায়ান ভাইয়া সাথে আছে। আমরা সবাই সবার সাথে আছি। ইনশাল্লাহ থাকবোও। আমরা সবাই ম্যাচিউরড। মতানৈক্য করতে ইচ্ছে হয়, করবো! ঝগড়া করতে মন চায়, করবো! কিন্তু দিন শেষে একজন আরেকজনের জন্য, ভাই ভাইয়ের জন্য সবটুকু ভালবাসা নিয়ে অপেক্ষা করবো! চিরস্থায়ী হোক আমাদের এই মায়ার বন্ধন। রক্ত দিয়ে কিছু হয় না। রক্ত কোন বিষয়ই নয় আমার কাছে। তোমরা আমার রক্তের চেয়েও বেশী। ব্যাখ্যার অতীত বেশী! আর একটা কথা তো না বললেই নয়! যদি আমার উপরে রাগ হয় তোমাদের কখনও, সাথে সাথে বলবা, ভাইয়া, আপনার উপরে না রেগে যাচ্ছি! তোমাদের ঐ রাগের বহিঃপ্রকাশও আমাকে ডুবে যাওয়া থেকে পথ দেখাবে! তোমাদের রাগী, হাসি সব মুখেই আমার ভেতর তোমরা আছে। কোথায় আর যাবা তোমরা? আমারই তো অংশ যে! যাওয়ার জায়গা তো রাখিনি আর কোথাও! আমার কাছেই আছো, আমার কাছেই থাকবা!

 

কি না কি সব লিখে ফেললাম!

তবুও তোমাদের জন্যই আমি-

শাওন    

Author's Notes/Comments: 

১৩ অক্টোবর ২০২০

View shawon1982's Full Portfolio