আমি আমার আমিত্বের সংজ্ঞা খুঁজে বেড়াই
পথে পথে, নগরে প্রান্তরে, কখনও দিগন্ত পেরিয়ে
আমার কাছে আমি তো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই
যখনই ছুঁতে গিয়েছি, পারদের মত সরে গেছে
কখনো উর্ধ্ব-মিরীচিকা হয়ে অট্টহাস্যে বলেছে-
আমাকে ধরতে চেও না; পারবে না।
কখনও আমি আকাশের মত, কখনও উত্তাল ঢেউ
নিগুঢ় সত্ত্বার ভেতরে লুকানো যে সব অব্যক্ত কথা
বলেছি নিজের সাথে কত! জানতে পারেনি কেউ।
কখনও আমি মুঠো মুঠো আকাশ ছড়িয়েছি
আমার ভালোবাসার আড়ালে, সুদূর বিস্তারে অজানা প্রান্তরে
তবুও কেউ দেখেনি, কেউ বলেনি দূরত্ব কতটা ছিল
অজানা রয়ে গেছে পাখির ছেঁড়া পালকের গন্তব্যের মত।
কখনও আমি সাগর হয়েছি; উত্তাল ফেনিল ধাবমান
নত হয়েছি তীরে এসে, নিশ্চিহ্ন করেছি পদরেখা
নিঃশব্দ অজানায় হারিয়ে গেছে পানিতে পানির রেখা
আমি তবুও ক্লান্ত হইনি! অগ্রসর হয়েছি শামুকের মত
খোলসে গুটিয়ে গেছি; অজানা কিছু ভয়ে, লাজে
তখনই শুনেছি দূরে কোথাও নুপুরধ্বনি বাজে।
কখনও আমি পাহাড় হয়েছি; নিঃসঙ্গ এক উন্নাসিক
বর্ষার জলে স্নাত হয়ে, অবগাহন করেছি নৈঃশব্দ্যে।