স্বপ্নিল আরেফিন একজন উদীয়মান গল্পকার। থাকেন ঢাকার এক মেসে। ইতোমধ্যে ওনার দু একটা গল্পের বই বাজারে বের হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত সেগুলোর কাটতি খুব একটা ভালো না। এ নিয়ে ওনার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না কেন অন্য লেখকদের বইয়ের গরম মিষ্টির মত চাহিদা আর ওনার বইগুলো যেন কেউ ছুঁয়েও দেখেন না।
স্বপ্নিল রীতিমতো একধরণের মানসিক চাপের মধ্য দিয়েই যাচ্ছেন। উনি ভাবেন হয়তো অন্য জনপ্রিয় লেখকদের লেখায় জাদুর মত এমন কিছু আছে যা ওনার লেখায় অনুপস্থিত। কিছু পাঠকের সাথে একান্তে কথা বলে আসল কারণতা বের করার চেষ্টা করে দেখেছেন।
একেক পাঠকের একেক রকম চাহিদা- কেউ চায় সামাজিক গল্প, কারো ভালো লাগে রোম্যান্টিক ধাঁচের লেখা, কেউ বা যৌনতায় পরিপূর্ণ সাহিত্য পছন্দ করেন। তবে যে জায়গাটায় সবার মতের মিল লক্ষ্য করা যায় সেটা হচ্ছে ‘নতুনত্ব’। নতুনত্ব থাকতে পারে গল্প বলার ধরণে, চরিত্রের বর্ণনায়, ভাষায় ইত্যাদি।
স্বপ্নিল নিজের সাথেই দৃঢ় পণ করেন যে এবার একটা সম্পূর্ণ নতুন ধরণের বা আঙ্গিকের গল্প লিখবেন যেটা পাঠকগণ এর আগে কখনো দেখেননি কিংবা পড়েননি।
যেই ভাবা সেই কাজ। লিখা শুরুর ক্ষেত্রে উনি শামুকের গতিতে এগুতে পছন্দ করেন না বরং চিতা বাঘের দৌড়ের মত দ্রুততায় লিখা শুরু এবং শেষ করতে চান। যাইহোক উনি ঠিক করলেন যে একটা গরীব ছেলেকে নিয়ে গল্প লিখবেন যে রাগ করে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছে এবং নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করছে।
গল্পটার নাম দিয়েছেন “তেঁতো বাস্তবতা”। ওনার মাথায় ‘নতুনত্ব’ শব্দটা এমনভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে যেভাবে পার্কে নাগরদোলা ঘুরে। মেসে কিংবা বাইরে যার সাথে যে বিষয় নিয়েই কথা বলেন না কেন, ঘুরেফিরে ওনার মস্তিষ্কের গলিতে এসে ‘নতুনত্ব’ এসে উঁকি দেয় একটু পরপর। এমনকি গভীর রাতে ঘুম ভেঙে হঠাৎ “নতুন কিছু কর” বলে লাফ দিয়ে উঠেন।
ওনার রুমমেট আজব আখন্দ অবশ্য কখনো এ নিয়ে আপত্তি করেন নি। আসলে আপত্তি করার কোনও সুযোগ নেই কারণ ওনার ঘুম কুম্ভকর্ণের ঘুমের মত। আজবের নামই শুধু আজব না তার কর্মকাণ্ডও আজব! একবার ঘুমের রাজ্যে প্রবেশ করার পর আশেপাশের কোনও শব্দ আজবের কানের দুর্গ ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না।
স্বপ্নিলের মাঝেমাঝে মনে হয় যে আজবের বিছানার দুইপাশে হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে বিস্ফোরিত পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটালেও তার ঘুম ভাঙ্গবে না!
তিনি ঠিক করেন যে এই গল্পটা সাধারণ অন্যান্য গল্পের মত করে লিখবেন না। ফেইসবুকে বাংলা অনুভূতিগুলোকে তরুণরা যেভাবে ইংরেজি বর্ণমালায় লিখে, তিনি ঠিক ঐভাবেই লিখে ইতিহাস গড়তে চান। কারণ স্বপ্নিল জানেন যে এর আগে কেউ এ ধারায় গল্প লিখেন নি।
ওনার দৃঢ় বিশ্বাস যে ইতিহাসের পাতায় জনপ্রিয় লেখকের কাতারে না হোক, অন্তত অভাবনীয় সৃষ্টিশীলতার জন্য সাহিত্য জগতে ওনার নাম সোনালী না হোক কমপক্ষে রুপালী অক্ষরে অমর হয়ে থাকবে! গল্পের শুরুটা এভাবে-
“Teto Bastobota”
- Shopnil Arefin
Dukhu miar boyos tero bochhor. Se Dhakay esechhe pray der bochhor agey. Ma babar ovab onotoner songsar ar osantir kalo chhaya pechhone fele ektu shantir ashay se train-e chepe soja dhaka komolapur station-e ese nemechhilo.
Ekhono majhe majhe tar monehoy train-e kore Dhaka jabar pothe tar chokh jeno jhornay porinoto hoyechhilo ebong chokher jol hoyechhilo jhornar panir moto. Jini traine-e ticket check koren tini tar kanna dekhe ektu mayabodh korechhilen. Tini Dukhu-ke du ekta kothao jigges korechhilen kintu tar thik mone nei oi kothagulo.
Somoy ki nisthur. Hok kono raja kingba moharaja, karo roktochokkhu-ke voy payna ei ‘somoy’. Se tar nijosso gotite cholchhe, cholbei keyamoter ag porjonto. Somoyer srote Dukhu tar ma baba vai bonder sathe katano sukh-dukkher muhurtogulo jeno kaler otol kuyay bilin hoye gelo.
Se ekhon tar ma babar cheharao thikmoto mone korte pare na. majhe majhe tar khub kosto je hoyna ta na. Pray-i mon khub kade. Mon hoi sob chhere abar grame fire gie ma-ke sojore jorie dhore kadte.
Dhakay nirdisto kono kaj nei tar. Jokhon je sujog ase seta kaje lagay. Ghumanor jayga bolte hoy footpath noytoba kono park-er bench, notuba porittekto kono boro pipe-er vetor. Saradiner klantite raat-e ga eliye deya matroi ghum chole ase.
Se janena tar bortomane ki achhe, vobissoter kothato baad-i deya valo. Majhe majhe Dukhur mone hoy tar ma baba train theke nemei takey dekhbe ar buke joriye dhorbe. Sei alingon godhulir akasher golapi avar moto lepte thakbe onekkhon.
Dukhur poribarer kotha beshi mone pore jokhon se baire theke train-er janalay kono ma-ke dekhe onar bachchake khub ador kore vat khaiye dichhen ar matha bulie dichchhen.
এই পর্যন্ত লিখার পর হঠাৎ স্বপ্নিলের ফোন বেজে উঠে। ওনার মা ফোন করেছেন। মা নুরজাহান বেগম গ্রামে থাকেন। বয়স সত্তর বছর। মাসের বেশীর ভাগ সময় নানারকম রোগবালাই লেগেই থাকে। স্বপ্নিল ফোনটা ধরার পর ওনার মা অনেক কষ্টে বাচ্চাদের মত করে বললেন, “বাড়ি আয়”।
স্বপ্নিল বুঝতে পারলেন যে ওনার মার শরীর খুব খারাপ। তিনি তৎক্ষণাৎ নতুনত্বের ভুত মাথা থেকে ফেলে কাপড়চোপড় গোছানো শুরু করলেন। স্বপ্নিলের মা-ই ওনার কাছে সব। বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে তিন বছর ধরে শয্যাশায়ী। বাকশক্তিও হারিয়েছেন। মাটিতে পড়ে থাকা মরা গাছের মতই ওনার জীবন। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা চার পায়া টেবিলের এক পা না থাকলে যেমন দশা হবে অনেকটা সেইরকম।
স্বপ্নিলকে নিয়ে তাই ওনার মায়ের অনেক স্বপ্ন- ছেলে ডাক্তার হয়ে ফিরবে একদিন। গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে। স্বপ্নিল সেই স্বপ্নের মূল্য বুঝে ঠিকই কিন্তু বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভের আশায় সে ডাক্তারি পড়াশুনাকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে নতুনত্বের সন্ধানে মেতে উঠেছে। যাইহোক, বাড়ি গিয়ে মাকে তো এসব বলা যাবে না। উনি খুব কষ্ট পাবেন।
মেসের বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঝড়ের মতন গতিতে সোজা রেল স্টেশনের দিকে রওয়ানা হলেন। খুব দ্রুতই স্টেশনে পৌঁছে গেলেন তিনি। টিকেট পেতেও খুব বেশী ঝামেলায় পড়তে হয়নি ওনাকে।
ট্রেন বরাবরের মতই দেরীতে আসবে। তিনি বোকার মত এদিক ওদিক তাকিয়ে পাশে একটা খালি আসনে গিয়ে বসলেন। পাঁচ মিনিট পরপর “ট্রেন আসতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকী” এ বার্তা কানে এসে পৌঁছে।
কলস ভরা পানি যেমন অনেকদিন ব্যবহার না করে ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যায়, স্বপ্নিলের একটানা একই জায়গায় পাথরের টুকরার মত বসে থাকতে থাকতে নিষ্প্রাণ, নির্জীব জড় পদার্থের মত মনে হতে থাকে।
হঠাৎ স্বপ্নিল খেয়াল করেন যে ওনার গলা শুকিয়ে একেবারে কাঠ হয়ে গেছে। ব্যাগ থেকে তৎক্ষণাৎ পানির বোতল নিয়ে নিজের তেষ্টা মেটাতে লাগলেন তিনি। মনে হল যেন স্বর্গীয় কোনও সুধা পান করছেন তিনি। পানির বোতলটি যথাস্থানে রাখতে যাবেন এমন সময় একটা বারো তেরো বছরের ছেলে এসে বলে,
- ভাইজান! ও ভাইজান! দশটা টাকা দেন না। কাইল হকাল থাইকা কিচ্ছু খাই নাই।
স্বপ্নিল একটু চমকেই গিয়েছিল কারণ ছেলেটি বজ্রপাতের মত হুট করেই সেখানে উপস্থিত হয়েছে যেন!
- তোমার নাম কি?
- দুখু মিয়া।
‘দুখু মিয়া’ নামটি শুনার সাথে সাথেই স্বপ্নিলের গল্পের সেই দুখু মিয়ার কথা মনে পড়ে যায়। ছেলেটির মুখটা বড়ই মায়াবী। মাথায় ঘন চুল, এলোমেলো, যেন পাখীর বাসা। গলার হাড় চামড়া ভেদ করে বাইরে চলে আসতে চাইছে।
স্বপ্নিল মনেমনে ভাবেন পৃথিবীতে নানা রকম মানুষ, নানা রকম তাদের দুঃখ দুর্দশার গল্প। এই ছেলেটি দশ টাকা দিয়ে কি করবে? তার ক্ষুধা কতটুকুই বা কমবে? প্রতিদিন নিশ্চয়ই এভাবে ভিক্ষা করে করে তার ক্ষুধা মেটায়।
একসময় এমন একটি ফুলের মত নিস্পাপ, কচি শিশু পৃথিবী থেকে চলে যাবে চিরতরে। তার আত্মীয়রা ব্যতীত কেউ কাঁদবে না তার জন্য। দুনিয়া চলছে এবং চলবে যন্ত্রের মত তার নিজস্ব নিয়মে। নব প্রাণ আসে সন্ধ্যাকালে ঝরে পড়া ফুলের মত দ্রুত বিলীন হয়ে যায় মহাকালের গর্ভে।
স্বপ্নিল ওনার পকেট থেকে বিশ টাকার একটা নোট বের করে ছেলেটির হাতে দিয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। ছেলেটি বলে,
- আল্লায় আফনের মনের আশা পূরণ করুক।
ছেলেটি কোনও এক আত্মার মত মুহূর্তে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। স্বপ্নিল দুখু মিয়ার বলা শেষ কথাটা মনে করে মুচকি হাসছেন। কথাটা অবশ্যই কেউ তাকে শিখিয়ে দিয়েছে। অথবা সে অন্য কাউকে দেখেছে এভাবে বলে টাকা চাইতে।
কানে এসে বাজে “ট্রেন নির্দিষ্ট লাইনে এসেছে; আপনাদের যাত্রা শুভ হোক”। স্বপ্নিল তাড়াতাড়ি করে নিজের ব্যাগটা নিয়ে ওনার নির্দিষ্ট আসনে গিয়ে বসলেন।
ট্রেনে যাত্রা করার একটা অন্যরকম মাদকতা আছে। ট্রেন একেবেকে ছুটে চলছে খুব বড় সাপের মত! প্রকৃতির ঠিক মাঝে ট্রেনটি; যেন চারিদিক থেকে প্রকৃতি ট্রেনটিকে সযত্নে আগলে রেখেছে। যেন মায়ের কোলে সদ্য জন্ম নেয়া এক শিশু।
বাড়িতে পৌঁছেই স্বপ্নিল ওনার মাকে অনেকক্ষণ ধরে জড়িয়ে ধরে রইলেন। যেন পৃথিবীর সমস্ত মায়া, মমতা, ভালোবাসা আজ এ দুটি প্রাণের মাঝে এসে ভর করেছে।
রাতে খাবার খেতে বসে স্বপ্নিলের চোখ কপালে উঠার যোগাড়! টেবিলে নানা রকমের খাবারের পশরা।
পুকুরের তাজা মাছ, নিজ ক্ষেতে ফলানো তাজা সবজি, মুরগীর মাংস, গরুর গোসতসহ আরও কত রকম তরকারি যেন চোখ মেলে তাকিয়ে আছে স্বপ্নিলের দিকে। নুরজাহান বেগম ওনার ছেলের পাশে এসে বসলেন। আজ দু চোখ ভরে তিনি ছেলের ভাত খাওয়া দেখবেন। সন্তান তৃপ্তি নিয়ে খাবার খেলে মায়েরও যেন কোনও ক্ষুধা থাকে না।
- মা, আমি কি মেহমান যে আমার জন্য এত কষ্ট করতে গেলে? আলুভর্তা, ডাল আর সাথে একটা ডিম ভাজি হলেই তো হয়।
- বেশী কথা বলিস না। চুপচাপ লক্ষ্মী বাচ্চার মত সব খাবার শেষ করবি। না খেতে খেতে একেবারে কংকাল হয়ে গেছিস!
স্বপ্নিল আর ওনার মায়ের মধ্যে অনেক কথা হয়। কথার বিষয়বস্তু অতীত আর বর্তমান কেন্দ্রিক। স্বপ্নিলের হঠাৎ দুখু মিয়ার কথা মনে পড়তেই তিনি মাকে তার সম্পর্কে কি একটা বলতে গিয়েও আর বললেন না।
রাত এগারোটা বাজে। গ্রামে এগারোটা মানে অনেক রাত। চারিদিক কবরের নিস্তব্ধতার মতন নীরব। স্বপ্নিল ওনার রুমে বিছানায় শুয়ে ওনার শুরু করা গল্পটি নিয়ে ভাবছেন। বাইরে ঝি ঝি পোকারা যেন আনন্দের মিছিলে লিপ্ত। মাঝে মাঝে দু একটা কোলা ব্যাঙ তাদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।
এভাবেই কয়েকদিন কেটে যায়। স্বপ্নিলের ঢাকায় যাবার সময় চলে আসে। বিদায়ের দিন নুরজাহান বেগমের দু চোখ বেয়ে অশ্রুর বন্যা নেমে আসে। ওনার মনে হতে থাকে তিনি হয়তো ওনার ছেলেকে এই শেষবার দেখছেন। স্বপ্নিলের চোখও সিক্ত হয়ে ওঠে।
প্রকৃতির এই এক অদ্ভুত নিয়ম। মুহূর্তে প্রাণের সাথে প্রাণের মিলন ঘটে, আবার মুহূর্তেই কাঁচের মত তা ভেঙ্গে চুরমার হয়। আনন্দ এবং বেদনা দুটোই স্থায়ী নয়। সম্ভবত সে জন্যেই মানব জীবন রংধনুর মত এত বর্ণীল!
ঢাকায় স্টেশনে পা রাখতে না রাখতেই সেই দুখু মিয়ার সাথে দেখা। তবে পূর্বের সেই দুখু মিয়া আর এই দুখু মিয়ার মাঝে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এখন সে পুরোপুরি অন্ধ। স্বপ্নিল ভেবে পান না এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এই নিস্পাপ ছেলেটার জীবনে কত বড় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে! তিনি তার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলেন,
- দুখু, তোমার এ অবস্থা হল কি করে?
ছেলেটি এই অপরিচিত কণ্ঠে তার নাম শুনে বিন্দুমাত্র অবাক হয় নি।
- আফনে এইসব হুইন্যা কি করবেন?
- আমাকে সব খুলে বলতে পারো।
- আমারা যেই বস্তিতে থাহি, হেই জাগার এক খারাপ লোক আমাগোর মত পোলা পাইনরে ধইরা কানা, ল্যাংড়া, লুলা কইরা দেয়।
- কি বল এইসব?
- হাছা কইতাছি।
- এরকম কেন করে?
- মাইনষে আমরার এইরম খারাপ অবস্থা দেইখা মায়া কইরা বেশী বেশী ভিক্ষা দিব, হেইল্লাইজ্ঞা।
স্বপ্নিল এ কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়ল। যেন তার গা গুলিয়ে আসতে লাগল। বেচারা দুখু! তার বাকি জীবনটা কি এভাবেই মানুষের করুণার উপর ভর করেই যাবে? তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দুখুর মত আরও অগণিত দুখুর কথা ভেবে আতংকিত এবং অসহায় বোধ করলেন।
দুখুর হাতে একটা একশ টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে স্বপ্নিল ওনার বাসার দিকে রওনা দেন। বাসায় ফিরে সেই দুখু সম্পর্কে একটা গল্প লিখবেন বলে স্থির করলেন। যে গল্পে মানুষের অধিকারের কথা তারার মত জ্বলবে, যে গল্প মানুষকে ভাবাবে, মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করবে।