পাতার মর্মর ধ্বনি, ধুলো মাখা মেঠো পথ আর ছোট্ট একটা নদী
সবুজ শ্যামল মায়াভরা আলোকদীপ্ত! সেই তো আমাদের গ্রাম।
দেখবে চল! তোমায় দেখাবো বন্ধু; আমার সাথে সেথা যাও যদি।
কত রকমের ফুল ফল আছে সে গাঁয়ে! আম কাঁঠাল জাম-
কত রকমের মানুষ আছে ভাই, ভালোবাসাই যাদের প্রাণ!
ত্যাগ তিতিক্ষার পরেও যারা পায়নি যোগ্য মানবরূপ দাম।
মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে রেখেছে, অকাতরে করিয়াছে দান-
দেশের তরে শ্রম দিয়াছে আর নিজেদের করিয়াছে শূন্য।
গ্রাম বাংলার মানুষ গুলোকে আমরা করি নাই মূল্যায়ন।
শহুরে জীবনের চালচলেনে আমরা হইয়া গিয়াছি ধন্য-
ভুলিয়া গিয়াছি সেই যে শেকড়, আমাদের গাঁয়ের কথা।
গ্রামের মানুষ? মূর্খ চাষা! মানবরূপে করিনা আজ গন্য।
সহজ সরল গ্রামের মানুষ, বুকে নিয়ে আছে কত ব্যথা!
কে শুনবে সেই কথা? কেইবা দিবে তাদের একটু সান্ত্বনা?
পেছনের কথা ভুলে গিয়ে শহর প্রান্তে মজিয়া রয়েছে সেথা।
দেশের মানুষের অন্ন জোগায়ে সে লভিয়া নিয়াছে গঞ্জনা-
গ্রামে কি মানুষ থাকে? ওখানে থাকবো? সে এক মহাবিপদ।
মায়ের পেটে জন্ম নিয়া আজ সেই মাকেই করছি প্রবঞ্চনা।
শান্ত সুনিবিড় পল্লী বাংলা, সে যে আমার দেশের সম্পদ!
দীনহীন হয়ে অবশিষ্ট আছে! একটু দেখার সময় কোথায়?
কারা প্রাচীরের ন্যায় ইটের দেয়ালে আজ আমরা নিরাপদ।
কলকল করে মধুর ধ্বনিতে নদী সেথা বয়ে যায়!
মায়াবী যাদুতে সদাই যে হাতছানি দিয়ে ডাকে!
গ্রাম বাংলা! চল যাই ভাই! এখনও আছে সময়।