বছর ঘুরে বাংলার পানে যখন আসে বৈশাখ-
নববর্ষের আমেজে মনে বাজে খুশির ঢাক।
একদিনের জন্য হলেও তো হব সবে বাঙ্গালী,
যদিও সারাবছর বাংলার মুখে দেই চুনকালি!
সকাল বেলা শাড়ি-পাঞ্জাবী আর মুখে দেই পান্তা-
বঙ্গনারীরা তখন আবার ট্যাট্টু ছেড়ে মাখে আলতা।
রমনার বটমূলে গিয়ে শুনি সবে মিলে বাংলা গান-
প্যান্টের পকেটে মোবাইলে ঠিকই বাজে ইংরেজ টান!
ছেলেমেয়ে এক হয়ে মাতে; আহা কি খুশির জোয়ার!
নববর্ষ ছাড়া এমন সুযোগ, কোথা পাবে বল আর?
সারা বছর বিজাতী সভ্যতায় হয়ে থাকি সবে চুর-
১লা বৈশাখ এলেই বাঙ্গালী; বাঙ্গালীপনায় ভরপুর!
দেশের মানুষ যায় রসাতলে, আমাদের কি এল গেল?
ডোন্ট নো! হু কেয়ার্স! চিয়ার্স!! আমরা থাকলেই হল।
রোদে ঘুরে তামাশা করে যখন লাগে দারুণ ক্ষুধা,
তখন কি আর পান্তা চলে? পিজ্জা বার্গারে নেই দ্বিধা!
ঢলাঢলি আর ফষ্টিনষ্টিতে তখন যায় কতক মেতে-
বৈশাখের রোদের চেয়েও তাদের হিংস্রতা যায় তেঁতে।
বাংলা ভাষা সংস্কৃতির জন্য যদি সত্যিই থাকে ভালবাসা;
নববর্ষের ছুতা দিয়ে দিতাম না গড্ডালিকায় গা ভাসা।