শোনেন শোনেন বন্ধুগন
শোনেন দিয়া মন,
ব্যাচেলর নানার কথা
করিব বর্ণন!
আমাদের ব্যাচেলর নানা যিনি
পারভেজ তার নাম,
কাজের কাজ করতে গিয়ে
কইরা ফালান আকাম!!
লোকে কয় উনি নাকি
ভীষন সহজ সরল,
মাথার ভিতর আছে ভর্তি,
শুধু নারকেলের ফোঁপল!
দেশ ছাইড়া মনের দুঃখে
চইলা গেছেন দুবাই,
দুঃখ উনার একটাই ছিল
করলোনা কেউ জামাই!!
বিয়ার কথা কইলে পরে
ভীষণ লজ্জা পান,
দুবাই গিয়া উনি শুধু
বেল এর শরবত খান।
ফুটপাথ এর ফুচকা খাইয়া
হইছিল পেট খারাপ,
ফুচকার কথা আইলে পরে
দেন অভিশাপ!
গাল ফুলাইয়া উনি যখন
কইরা থাকেন রাগ,
কাছে গেলেই উনি বলেন
গেলি তোরা, ভাগ!
নানির কথা কইলে নানার
পড়ে মাথায় বাড়ি,
নানির কাছে গেলেই তো
খাইয়া আসবেন ঝাড়ি!!
লোকে কয় উনারে নাকি
চেতানো আছে মানা,
ব্যাচেলর হয়েও কেমনে জানি
হয়ে গেছেন নানা!
পোলাপাইন দুষ্টামি কইরা
কয় পারু নানা,
উপরে তো ফিটফাট থাকে
ভিতরটা তো ফাঁপা!
নানার জন্য এখন তো
খুঁজতে হবে নানি,
উনার ত মাথা ভর্তি
আছে ডাবের পানি।
সাদাসিদা উনারে লইয়া
করছি কানাকানি,
উপরের চেম্বার এ কিছুই নাই
কোথায় পাবো নানি?
বেল এর শরবত খেয়ে উনি
মাথা ঠান্ডা করেন,
আমদের লগে আইসা উনি
ধুমায় আড্ডা মারেন!
আড্ডা মারতে যাইয়া যখন
খাইয়া যান বাঁশ,
আশিক নামের পোলাডারে
বানায়ে ফেলেন ‘আঁশ’!
এই ছড়া লিখে আমি
কি পুরস্কার পাবো?
আমারে পাইলে উনি আমার
পিন্ডি চটকায়ে দিবো!!
যেখানে থাকেন নানা ভাই
থাইকেন খুবি ভাল,
এই লেখা পড়ে আবার
মুখ কইরেন না কালো!