আবার একটা বছর শেষ হয়ে গেল। আজকে শেষ দিন। সকাল থেকেই বারবার মনে হচ্ছিলো, বছরের শেষ এই দিনেই একটা বৃশ্চিক অভিধানের কিছু লিখব না? মনতা কেমন যেন খচখচ করছিল। সারাদিন ধরে আমি কম্পিউটার অন করে রেখেছি কিছু লিখবো বলে। কিন্তু নিজের সাথে নিজে প্রতারণা করার মতই হয়েছে। আমি কিছুই লিখতে পারিনি। মনে অনেক কিছুই উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলো। অনেক কিছুই মনে হচ্ছিলো লেখার জন্য। কিছুই করতে পারলাম না। তালগোল পাকিয়ে ফেললাম সব। এখন দিনের একদম শেষে এসে মনে হচ্ছে আর মাত্র ঘন্টা চারেকের মত আছে এই বছরের। এর পরেই বেজে যাবে রাত ১২ টা। শুরু হয়ে যাবে ইংরেজী নতুন বছর ২০২২ সাল। দুই বছরের এই ক্রান্তিকালে কত কিছু মনে পড়ে, কত কিছু যে করতে ইচ্ছা করে। কত রকম উন্মাদনা কাজ করতে থাকে মনে। কিন্তু এও জানি যে, যত কিছুই মনে পড়ুক না কেন, তার সিকিভাগও করা হবে না কিছুই। কারণ এখন আর ছেলেপেলেদের মত উন্মাতাল হবার বয়সে আর নেই। এখন আমি যদি অন্য সবার মত নাচাকুদা করা শুরু করি, তাহলে কি আর মানায়? আমি বসে বসে ছোটদের উন্মাদনা দেখি। সেটাই ভাল লাগে। যে বয়সে যা মানায়। আমার চোখের সামনেই আমার বাচ্চা কত কিছুর যে প্ল্যান করে ফেলছে! সেটা দেখতেই ভাল লাগছে।
কয়েক বছর ধরে ফানুস উড়ায় মানুষ। অথচ বছর কয়েক আগেও ফানুস যে কি সেটাই চিনতাম না ঠিকমত। আমার মনে পড়ে আমি ফানুস কথাটা মনে হয় প্রথন শুনেছিলাম এন্ড্রু কিশোরের সেই বিখ্যাত গানের মধ্যে, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’! গানটা শুনতাম ঠিকই কিন্তু বুঝতাম না যে ফানুসটা আসলে কি। এসব কথা এখনকার ছেলেপুলে শুনলে আমাদের যে কি ভাববে, সেটা আর চিন্তা নাই বা করলাম! যুগের সাথে সাথে কত কি যে বদলায়। তবে এখন থার্টি ফার্স্টের একটা প্রধান অনুসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে পোড়া মাংস খাওয়া তথা বারবিকিউ করে খাওয়া। জিনিসটা অবশ্য আমার মন্দ লাগে না। ভালই লাগে। সবাই মিলে গল্প করতে করতে ঝলসানো মাংস খেয়ে নেয়া। এবারও খাওয়া হবে। অপেক্ষায় আছি।