শহুরে রাস্তা ধরে রিক্সা নিয়ে এগোচ্ছিলাম মেয়ের জন্য নতুন স্কুল দেখবো বলে। আমাদের ঢাকা শহরে বড় গাছ তো বেশ দুর্লভ জিনিস হয়ে গেছে। আগে রাস্তার আশে পাশে কিছু দেখা যেত। এখন রাস্তা সম্প্রসারণ আর মেট্রো রেলের কাজের কারণে কিছুই তেমন আর দেখা যায় না। তবে মিরপুর দুই নাম্বারের দিকে এখনও কয়েকটা বট গাছ দেখা যায়। বট গাছের সাথে আমার সম্পর্ক সেই প্রাইমারী স্কুল থেকেই। শৈশবে ১৯৯০ সালে যখন ক্লাস টু তে ভর্তি হয়েছিলাম প্রি-ক্যাডেট চাইল্ড কেয়ার হোমস স্কুলে, মিরপুর-৬ এর মিল্ক-ভিটা ভবনে।
সেই স্কুলে গোড়া বাধাই করা বড় একটা বটগাছ ছিল। টিফিন পিরিয়ডে বট গাছটার গোড়ায় বসতাম। বন্ধুরা গল্প করতাম আর বট গাছের কান্ড বেয়ে বেয়ে বড় বড় সাইজের কালো পিঁপড়ার ওঠানামা দেখতাম! উপরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম আর ভাবতাম, ইশ আমি যদি গাছে উঠতে পারতাম! গাছে ওঠা তো নিষেধ ছিলই। আর গাছে যে অনেক পিঁপড়াও ছিল! কি আর করা, অগত্যা গাছের গোড়াকে কেন্দ্র করে আমরা ছোঁয়াছুঁয়ি, বরফ পানি, কুমির-ডাঙ্গা এমন আরও কত কি খেলতাম। রাস্তায় চলতে চলে দুর্লভ এমন দুই একটা বট গাছ দেখে কত কিছুই না মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, মনের চোখে সেগুলো দেখাও যায়, কিনতু সেখানে ফেরত যাওয়া যায় না।