ঠিক এক বছর আবার খাতা খুললাম ‘বৃশ্চিক অভিধান’ এর। আবার শুরু করলাম নতুন করে এর যাত্রা। ঠিক এক বছর! গত বছর শেষ লেখাটা লিখেছিলাম ২৭ অক্টোবর এ। কিছু অভিমান মনে জমা করে লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। লেখা বন্ধ করলেও আমাকে প্রতিনিয়ত টানতো বৃশ্চিক অভিধান। ব্লগ সাইটে গিয়ে মাঝে মাঝে উলটে পালটে দেখতাম পুরানো লেখাগুলো আর দীর্ঘশ্বাস ফেলতাম। মাঝে মাঝে মনে হতো, এত কিছু থাকতে সব অভিমান গিয়ে জমা হলো আমার লেখাগুলোর উপরে? আর অভিমান করেই বা লাভ কি আর কেনই না? এই পার্থিব জীবনের যে ঘূর্ণিপাকে আমরা ঘুরছি প্রতিনিয়ত এখানে কার অভিমান কেই বা দেখে আর কেই বা বোঝার চেষ্টা করে? আমার সমস্ত সুদিন দুর্দিনে আমার একান্ত সাথী হয়ে ছিল আমার লেখাগুলো। নিছক অভিমানের বসে সেই লেখাগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে আমি ভুল কাজই করেছি। তবে লেখা কিন্তু থেকে যে ছিল তা নয়। অন্যান্য কিছু লেখা হয়ত লিখেছি। বিভিন্ন ফোল্ডারে সেগুলো জমা হয়েছে। শুধু ফাঁকা হয়েছিল বশ্চিক অভিধানের ফোল্ডারটাই। আবার শুরু করলাম। আবার যা কিছু হোক না কেন, আমার এই লেখার সাথে আর অভিমান করতে চাই না আমি। কারণ আমি জানি, অভিমান করে নিজের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করিনি আমি। প্রতিবার ভাবি, শিক্ষা হয়েছে। কিন্তু হয় কোথায়? বারবার সেই একই ভুলই তো করতে থাকি।
মাঝে মাঝে আমাদের জীবনে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যায়। সেগুলোর সব ব্যাখ্যা দেয়া আমাদের জীবনে সম্ভব হয়ে ওঠে না। যেগুলোর ব্যাখ্যা আমরা সহজে দিতে পারি না, সেগুলোকে আমরা ‘কাকতালীয়’ তকমা দিয়ে বসে থাকি। হতে পারে কাকতালীয় কিন্তু এমন ঘটনা যে ঘটে না সেটা তো না। সেই হিসাবে বিবেচনা করলে আজকের এই তারিখ অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর ২০২১ আমার জন্য বিশেষ একটা দিন। সেই সাথে এখানে বিশেষ কিছু জিনিসের পুনরাবৃত্ত ঘটেছে। সবটুকু যে পুনরাবৃত্ত তা নয়। তবে যখন আমি বুঝতে পেরেছি তেমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে, তখন আমি ইচ্ছে করেই বাকীটুকু ঘটিয়ে দিয়েছি। বেশ মজা লাগছে। জীবনের কিছু অম্ল-মধুর স্মৃতির সাথে না হয় যোগ হয়ে থাকুক আজকের এই স্মৃতির ঘটনা। কিছু পুনরাবৃত্ত আর কিছুটা বানিয়ে সেই পুরানো এক বছর এই দিনের ঘটনাকে আদল দিয়েছি। আজকে আর বেশী কিছু লিখতে ইচ্ছে করছি না। হালখাতা খোলার মত করে শুরু তো করেই দিলাম। লেখাকে আবার না হয় মুক্ত করে দেবো। লেখা চলুক তার নিজস্ব গতিতে। আজকের ঘটনার কিছু আর লিখলাম না। বেঁচে থাকলে কাল লিখবো। আজকে শরীরটাও বেশী ভাল লাগছে না।