একটাই ছবি ছিল তোমার
কখনও বুক পকেটে, কখনও মানিব্যাগে
নিজের কাছ ছাড়া করিনি কখনও
তবুও কিভাবে হারিয়ে গেল?
তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি
জানা অজানা কল্পনা বাস্তবে
গাছের কাছে, নদীর কাছে, ধুলোমাথা পথের কাছে
নিঃসঙ্গ মৌমাছিটার কাছে
পানির অভাবে ফেটে যাওয়া মাঠের কাছে
নির্মম বাস্তবতার পীচঢালা সড়কের কাছে
বালিশের ছিঁড়ে যাওয়া কভারের কাছে
তবুও পাইনি!
আমি মরীচিকার কাছে তোমাকে খুঁজেছি
কোথাও তুমি নেই
যে নৈঃশব্দ্যের প্রহরে হারিয়ে গেছে
সেখানেও আমি করাঘাত করে করে ক্লান্ত হয়েছি
মিনতি করে বলেছি-
ধোঁকা দিয়ে হলেও এসো
শূন্যতায় গ্রাসাচ্ছাদন করে হলেও এসো
বাতাসের মত শুধু স্পর্শ হয়ে এসো
আকাশের মত না-ছোওয়া ব্যথা হয়ে এসো
কালো পীচের রাস্তায় মরীচিকা হয়ে এসো
তবুও তুমি এসো!
হারিয়ে যাওয়া আমি মেনে নিতে পারিনি
এখনও খুঁজে চলেছি!
অনেক দূরে, বহুদূরে
একাকী ক্লান্ত দাঁড়িয়ে থাকা এক বৃক্ষের কাছে ছুটে গেলাম
জিজ্ঞাসা করবো তোমাকে দেখেছে কিনা!
তৃষিতের মত সুধালাম
তাকে কি দেখেছো?
গাছটি জবাব দিল-
আমার কাছে সে ছিল
যখন আমার মধ্যে প্রাণ ছিল!
আজ আমি বড় বেশী ‘ফসিল’
যুগ যুগের অতলান্ত কালের সাক্ষী এক ফসিল!