শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কি?

সেই ১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ঘরে বসে আছি! অফিসের কাজ সব ঘর থেকে করতে হচ্ছে! যখন প্রথম লকডাউন শুরু হলো, প্রথম কয়েকদিন ছুটি-ছুটি একটা আমেজের মত লেগেছিল! সত্যি কথা স্বীকার করার মধ্যে কোন গ্লানি নেই। এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ করে করে সময় যায়, আর আসতে আসতে অবসরের ক্লান্তি ভর করতে শুরু করে। লকডাউনের মেয়াদ শুধু বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে। প্রথমে ভেবেছিলাম, বই পড়তে পড়তে দিনরাত এক করে দেবো! শুরুও করেছিলাম। ‘লোটাকম্বল’ এর মত বিশাল বইটাও কয়েক দিনেই শেষ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু এরপরেও তাতেও ক্লান্তি চলে এলো। কিছুই যেন ভাল লাগছিলো না। এভাবে যেতে যেতে কিভাবে যে বছর পার হয়ে গেল! টেরও পাইনি। শুধু অপেক্ষার পর অপেক্ষা!

 

কত মানুষ যে কত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, কত মানুষের পরিবারের প্রিয়জন যে অকালে ঝরে গেছে করোনায়, তার কোন শুমার নেই! ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে আপামর কেউই রক্ষায় পায়নি! করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা করতে হয়েছে বা হচ্ছে, তারা বুঝেছে পরিস্থিতি কত মারাত্মক হতে পারে। অনেক পরিবার এই চিকিৎসার ব্য্যভার মেটাতে গিয়ে তাদের সর্বস্ব শেষ করে ফেলেছে। অনেক পরিবার একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। যারা কখনও কারও কাছে নত হয়নি, এমন মানুষও দিশেহারা হয়ে মানুষের সাহায্য প্রার্থী হয়েছে। এক অবর্ণনীয় কষ্টে ভরে আছে মানুষের বর্তমান সময়কাল!

 

২০২১ যখন শুরু হলো, তখন আশায় আশায় ছিলাম, এই বুঝি সব ঠিক হয়ে যাবে। এই বুঝি শীত গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে! স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সব খুলে যাবে। এক এক পরে ৫ মাস চলে গেল। কিছুই হলো না। করোনা রূপ নিলো আরও ভয়াবহ আকারে। আগামী মাসের ১৩ তারিখ থেকে শুধু স্কুল কলেজ খুলে যাবার যে কথা শুনেছি, সেটাও নির্ভর করেছে চলমান করোনা পরিস্থিতির উপরে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কোন প্রজ্ঞাপন বা পূর্বাভাষ জানা নেই কারও। কি হতে চলেছে জানি না। এক এক বার আশায় আশায় দিন গুনি, আবার সবকিছি মরীচিকার মত মনে হয়। দিন তারিখ শুধু পেছাতেই থাকে, পেছাতেই থাকে। মনে হতাশার মাত্রা একটু একটু করে শুধু বেড়েই চলে। সামনের দিনগুলোতে আরও কি কি দেখতে হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন। ঐকান্তিক প্রার্থনা, সবকিছু ঠিক হয়ে যাক। শেষ হয়ে যাক এই দুঃস্বপ্নের প্রহর!    

View shawon1982's Full Portfolio