**এক**
= = = = =
বালিশের পাশে রাখা মোবাইল ফোনটা বেজে ওঠাতে কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে ধড়মড় করে জেগে উঠলো সাবের। একটু আগেই কোচিং থেকে ক্লাস নিয়ে এসেছে। ক্লাস করে এসে খুব ক্লান্ত লাগায় ভেবেছিল মিনিট দশেক একটু রেস্ট নেবে। যেই শুয়েছে, ওমনি রাজ্যের ঘুম চোখে চলে এসেছিল। কখন যে ঘুমের অতলে চলে গিয়েছিল বলতে পারে না। কতক্ষণ ঘুমিয়েছিল জানে না। কল সিরিভ করতে করতেই সেটা মিসড কল হয়ে গিয়েছে। নাদিরা কল দিয়েছে। মোবাইলের স্ক্রীনে সময় দেখলো সোয়া বারোটার মত বাজে তখন। তার মানে প্রায় সোয়া এক ঘন্টার মত ঘুমিয়েছে। নাদিরাকে কল ব্যাক করলো সাবের।
-হ্যালো, তুমি কোথায়?
-কই আর থাকবো, আমি বাসায়। শুয়ে ছিলাম একটু কোচিং থেকে এসে।
-একটু আসতে পারবা এখানে?
-এখন?
-হ্যাঁ এখনই। চলে আসো না প্লিজ! মা আজকে তোমার প্রিয় একটা খাবার রান্না করেছে। মা-ই বারবার করে বলছে তোমাকে আসতে।
-কি রান্না করেছেন আম্মা?
-বলবো না!
-আহ বলই না। কেন ঢং করছো?
-নাহ! আরে তুমি চলে আসো তো! এলেই তো খেতে পারবে।
-আচ্ছা আসছি। বলে কল কেটে দেয় সাবের। ওর শ্বশুরবাড়ি খুব বেশী দূরে নয় ওদের বাসা থেকে। রিক্সায় গেলে প্রায় মিনিট পনেরোর মত লাগবে যেতে। সাবের যাবার প্রস্তুতি নিতে লাগলো।
নাদিরা ওর স্বামী সাবের কে ওর বাবার বাড়ি যেতে বলছে। নাদিরা গত দুই দিন হলো গিয়েছে বাবার বাড়ি। এখন ওর প্রায় আট মাস চলছে। দুইদিন আগে আবদার করে বললো, কয়দিন বাবার বাড়ীতে ঘুরে আসবে। সাবেরের আপত্তি করার প্রশ্নই আসে না। এই অবস্থায় ওকে যে সমস্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তা মাঝে মাঝে অসহায় চোখে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। সাবেরের বাবা হাজী জমিরুদ্দিন সাহেব, প্রায় সময়ই খাবারের খোঁটা, টাকার খোঁটা দেয়। এর কারণ হলো, সাবের তার শিক্ষাদীক্ষা অনুযায়ী এখনও একটা ভাল চাকরীতে যেতে পারেনি। সাবের একা কথা শুনবে কেন? কারণ সাবের তো সারাক্ষণ বাসায় থাকে না।
বাসায় থাকে গর্ভবতী নাদিরা। ওকেই কথা শোনানো অনেক সহজ। চা খাবার নাম করে জমিরুদ্দিন সাহেব নাদিরাকে প্রায় প্রতিদিনই খাবার টেবিলে বসিয়ে রেখে নানা রকম উপদেশ বাণী দিতে থাকেন। উনার কথার মধ্যে বেশীর ভাগই থাকে সংসারের খরচের ফিরিস্ত, এই সংসার টানতে গিয়ে উনার উপরে কত ঝড় ঝাপটা যাচ্ছে, শাশুড়ির কান্ডজ্ঞানহীনতা, এবং অবশ্যই সাবেরের কোন চাকরী না পাওয়ার ইতিবৃত্ত। কথাগুলো প্রায় প্রতিদিনই ভাঙ্গা টেপ রেকর্ডারের মত শুনতে হয় ওকে। আগে নাদিরা চেষ্টা করতো মাঝে মাঝে দুই একটা কথা বলে শ্বশুরের মনোরঞ্জন করার। এখন আর কোন কথাই বলে না। মাথা নীচু করে শুনতে থাকে সব কথা। এরপর শ্বশুরের যখন মন ভরে যায়, তখন নিজের ঘরে এসে কাঁদতে থাকে। সাবের কে পারতপক্ষে কিছুই বলে না। স্বামীর মেজাজ মর্জি ভালই বোঝে নাদিরা। ওর সে যমস্ত কথা শুনতে হয়, তার কিয়দংশও যদি সাবের শুনতে পায়, তাহলে বাড়ীতে তুলকালাম কান্ড বাঁধিয়ে দেবে। সাবের প্রেসারের রোগী। ভয়ে নাদিরা আরো সিটিয়ে থাকে। কিছুই জানতে দেয় না সাবের কে। এক ঘরের মধ্যে বাস করেও নাদিরা পাক্কা অভিনেত্রীর মত স্বামীর কাছে যতটুকু সম্ভব লুকিয়ে চলে।
সাবের কাউকে কিছু না বলেই বাসা থেকে বেরিয়ে এলো। ড্রইং রুমে ওর মা বসে বসে রেসলিং দেখছিলো। টিভির দিকে এক ঝলক চোখ পড়তেই সাবের চোখ ফিরিয়ে নিলো। সাবের কোন অবস্থাতেই এই স্ক্রিপ লেখা ধস্তাধস্তি তথা রেস্লিং সহ্য করতে পারে না। দেখলেই ওর কাছে বিষের মত লাগে। যখন মেইন গেট পেরিয়ে প্রায় বেরিয়ে এসেছে, তখন সাবেরের মা, টিভি থেকে চোখ না সরিয়েই কিছুটা উদাসীন এবং আবেগহীন স্বরে বলে উঠলো-
-শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছো বুঝি?
-দেখি কই যাওয়া যায়, বলেই সাবের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে পড়লো। এর চেয়ে বেশী কথা বলার কোন দরকার মনে করলো না মায়ের সাথে।
বাসার লিফট নষ্ট দেখে মেজাজ আরো খিঁচড়ে গেল। দুদ্দাড় শব্দ করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে রাস্তায় বারিয়ে এলো সাবের। দুপুরের রোদে বাইরে তাকানোই দায়। এত গরম যে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতেই ওর কপাল বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে। রিক্সা একটা নেবে ভাবছিল। ঠিক তখনই আবার একটা ফোন এলো। এবারও আবার নাদিরা!
-হ্যালো তুমি কি বেরিয়ে গেছো?
-এই মাত্র গেট দিয়ে বের হলাম। সাবেরের নিরুত্তাপ উত্তর।
-এই আমার জন্য একটা জিনিস আনতে পারবে?
-কি আনতে হবে? বল। কিছু খাবা?
-হুম!
-কি বলছো না কেন? সাবের কিছুটা অধৈর্য হয়ে ওঠে।
-তোমার কাছে টাকা আছে?
-সে চিন্তা তোমার করতে হবে না। কি লাগবে বলো।
-তুমি আসার সময় একটা বাঙ্গি আনতে পারবা? নাদিরা অনেক আবদার করে বললো। আমার না অনেক বাঙ্গি খেতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে বাঙ্গি খেতে না পারলে আমি মরেই যাবো।
-এটা কেমন কথা বল নাদিরা? বাঙ্গি খেতে না পারলে মরে যাবা কেন? আমি আসতে আসতে রাস্তায় পেলে অবশ্যই একটা বাঙ্গি নিয়ে আসবো। চিন্তা করো না। বলেই সাবের ফোন রেখে দিলো।
পায়জামার এক পকেটে সাবের মোবাইল রাখে আর অন্য পকেটে রাখে মানিব্যাগটা। মানিব্যাগটা খুলতে ইচ্ছা করলো না। জানেই তো কি আছে কি নেই। তবুও অবুঝ মনের সান্ত্বনা হিসেবে খুলে দেখলো। মাত্র একটা পঞ্চাস টাকার নোট পড়ে আছে সেখানে। আতিপাতি করে খুঁজলো সারা মানিব্যাগ জানে আর কোন ভাঁজে কোন টাকা নেই। তবুও নিজের মনকে মিথ্যে সান্ত্বনা দিয়েই খুঁজলো। চিন্তা করে দেখলো, বাঙ্গি কিনতে কত লাগবে? রিক্সা ভাড়া প্রায় তিরিশ টাকার মত। শশুরবাড়িতে রিক্সায় করে গেলে আর বাঙ্গি কেনা হবে না। এখন বাঙ্গির সিজন চলছে। সাবের জানে রাস্তায় বের হলেই ভ্যানে করে বাঙ্গি বিক্রি করছে এমন ভ্যান কয়েকটা দেখতে পাবে। এই ঠা ঠা গরমে আর রিক্সা নেয়া হল না ওর। কপালের ঘাম হাত দিয়ে মুছে পাঞ্জাবির ঝুলের সাথে হাতের তালু মুছে নিল। হাঁটা ধরলো শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে। জোর পায়ে হেঁটে গেলে না হয় মিনিট বিশেকের মত লাগবে। মধ্যাহ্নের রোদ মাথায় করে সাবের রাস্তায় নেমে পড়লো।
মিনিট দশেক হাঁটার পরে সাবের বুঝতে পারলো পাঞ্জাবির পেছন দিকটা সম্পূর্ণ ঘামে ভিজে গিয়ে পিঠের সাথে লেগে গেছে। টেনে টুনে আবার যেই হাঁটতে শুরু করবে ওমনি পাশে একটা মটরবাইক এসে থাকলো। সাবেরের বড় ভায়রা মহিউদ্দিন।
-আরে সাবের তুমি? কোথায় চললে?
-এইত ভাই, নাদিরার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।
-নাদিরা কি আম্মার বাসায় নাকি? ওর শরীর কেমন এখন? ডেট কবে দিসে ডাক্তার?
-জ্বী শরীর মোটামুটি ভালই। ডেট মে মাসের মাঝামাঝি।
-তুমি হেঁটে যাচ্ছো কেন? রিক্সায় যাও। তোমার তো প্রেসার বেড়ে যেতে পারে।
ঠিক এই ভয়টাই পাচ্ছিলো সাবের। কি বলবে এখন? লজ্জার মাথা খেয়ে বললো, নিয়ে নেবো ভাই। কয়েকটা রিক্সা দরকাম করলাম কেউ যেতে চাচ্ছে না। এইজন্য কিছুটা হেঁটে এলাম।
-ও! বাসায় আইসো সাবের। বলে মহিউদ্দিন মটরবাইক টান দিয়ে চলে গেল। সাবের মনে হয় হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো। বয়স্ক একজন মানুষের সাথে কতক্ষণ মিথ্যা কথা বলা যায়? মহিউদ্দিন ভাইয়ের যখন নাদিরার বড় বোনের বিয়ে হয়, তখন নাদিরার বয়স মাত্র তিন মাস। সাবের আবার বাঙ্গি খুঁজতে খুঁজতে এগিয়ে চললো। পেয়েও গেল একটা ভ্যানগাড়িয়ে। দরদাম করে একটা মাঝারী সাইজের বাঙ্গি কিনে ফেললো তিরিশ টাকা দিয়ে।
শ্বশুরবাড়ির সদর দরজায় যখন সাবের ঘেমে নেয়ে পৌঁছে গেল, তখন দেখে নাদিরা দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। সাবেরের ঘামে ভেজা পাঞ্জাবী দেখেই বুঝে গেল সাবের হেঁটে এসেছে। মুহুর্তে মেয়েটার চোখে পানি চলে এলো। সাবের কাছে আসতেই, প্রথমেই বললো, তোমার কাছে টাকা নেই বললেই পারতে। না খেতাম বাঙ্গি!
-হ! এরপর তুমি বাঙ্গি না খেয়ে মরে যাও আরকি!
-তোমার তো আমার মরার চিন্তা নাই। চিন্তা আছে পেটের টারে নিয়ে তাই না? আমি মরলে তোমার কি? তুমি আরেকটা বিয়ে করে ফেলবে! নাদিরা খুনসুটি করে সাবেরের মন ভাল করতে চেষ্টা করলো।
-কি সব যে আজে বাজে কথা বল না! চল তো ঘরে। খাবার দাও। খিদা লাগসে নাদিরা।
-খাবার মা আরো আধা ঘণ্টা আগেই টেবিলে বেড়ে রেখেছে। এসে বসো।
সাবের হাত ধুয়ে টেবিলে বসে দেখে শাশুড়ি মাশকলাইর ডাল দিয়ে মুড়িঘন্ট রেঁধে রেখেছেন রুই মাছের মাথা দিয়ে। সাবেরের জন্য বড় একবাড়ি মুড়িঘন্ট আর বড় একটা মাছের মাথা রাখা। আর সাথে কয়েক রকমের সবজি ভাজি, মুরগির মাংস এসব রাখা। সাবের ভাত খেতে শুরু করলো। অন্য কিছু দিয়ে না, প্রিয় মুড়িঘণ্ট দিয়েই খাচ্ছে। আর নাদিরা ততক্ষনে একটা ছুরি দিয়ে বাঙ্গিটা কেঁটে ফেলেছে। একটা বাটিতে বাঙ্গির টুকরা চিনি দিয়ে চটকে চটকে মেখে খুব আয়েশ করে সেটাই খাচ্ছে নাদিরা। মুড়িঘন্ট খেয়ে সাবের যে মজা পাচ্ছিলো, তার চেয়ে বেশী মজা পাচ্ছিলো নাদিরার এই বাঙ্গি খাওয়া দেখে।
-কি দেখছো? নাদিয়া চোখ পাকিয়ে সাবের কে জিজ্ঞাসা করে। মুড়িঘণ্ট ভাল হয়নি?
-না না ভাল হয়েছে। সাবের আবার খেতে শুরু করে।
**দুই**
= = = =
পাঁচ বছর পরের ঘটনা। নাদিরা’র মেয়ের বয়স এখন পাঁচ বছর। নাদিরা দ্বিতীয়বার সন্তান সম্ভবা। পাঁচ মাসের মত চলছে। সাবের সকাল বেলা ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। এমন সময় নাদিরা উঠে এলো, খাটের থেকে। হাতে সাবেরের ব্যাগটা। বললো, তোমার ক্লাস আজকে কখন শেষ হবে? বিকাল হবে?
-না আজকে তো দুপুরেই ক্লাস শেষ। কেন, তোমার কি কিছু লাগবে নাকি? বাঙ্গি খাবা? বলেই সাবের মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো!
-ধুত! কি যে বলো না! আমি কি এবার বাঙ্গি খাচ্ছি নাকি। আমার বাঙ্গি খেতে ইচ্ছেই করে না একদম।
-কেন ওইবার না বাঙ্গি খাওয়ার জন্য মরে যাচ্ছিলে? তখন তো আমার পকেটে টাকা ছিল না। এখন একবার বলেই দেখ না, তোমার জন্য পুরা ভ্যান ধরে বাঙ্গি কিনে আনতে পারি।
-না কিছু লাগবে না আমার। সব বার মেয়েদের সব জিনিস খেতে ইচ্ছা করে না। ওইবার খুব বাঙ্গি খেতে ইচ্ছা করছিলো। মাঝে মাঝে মনে হতো বাঙ্গি খেতে না পারলে মনে হয় মরেই যাবো! এবার একদমই বাঙ্গি খেতে ইচ্ছা করছে না।
-এবার তাহলে কি খেতে ইচ্ছা করছে বল। নিয়ে আসবো না হয়। সাবের নাদিরার দুই কাধ ধরে প্রশ্ন করে।
-এবার আমার খুব আম খেতে ইচ্ছা করে। বাঙ্গি একদমই না।
-বেশতো, আম নিয়ে আসবো। আমি আনোয়ার ভাইকে ফোন দিয়ে দিচ্ছি। আম বাসায় দিয়ে যাবে।
-কি যে বলো না তুমি! পরশুদিন না বিশ কেজি আম আনলাম। তোমার মনে নেই?
-ওহ তাই তো! মনে ছিল না। তা তোমার অন্য কিছু লাগবে? চাইনিজ ফাইনিজ?
-আরে নাহ! দেখলেই গা গুলাতে থাকে আমার তেলের খাবার।
-তাহলে কি আনবো? কিছু তো বলো।
-কিচ্ছু লাগবে না আমার। তুমি বাসায় তাড়াতাড়ি ফিরে এসো। তাহলেই হবে।
-আচ্ছা ম্যাডাম আচ্ছা আমি ক্লাস শেষ করেই আমার রুমে আর ফিরবো না। সরাসরি বাসে উঠে পড়বো। ঠিক আছে?
-হ্যাঁ ঠিক আছে স্যার! মনে থাকে যেন।
সাবের নাদিরার মাথাটাকে নিজের বুকের উপরে টেনে নিলো। ঘরে এসি চলছে। শরীর ঘেমে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। তবুও সাবেরের চোখ দু’টো ঘামছিল। নাদিরা বুঝতে পারেনি।
**সমাপ্ত**
[বিঃ দ্রঃ যারা এতক্ষণ গল্পটা ধৈর্য ধরে পড়লেন, তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলছি এই অংশটাও একটু দয়া করা পড়ুন। এটি শুধু নিছক গল্প নয়। আমার নিজের জীবন কাহিনি। সাবের এর জায়গায় “শাওন” আর নাদিরা এর জায়গায় “নাঈমা” বসিয়ে নেবেন তাহলেই হয়ে যাবে। দুটি অংশে বিভক্ত গল্পটার সবটুকুই সত্যি। আমি যদি গল্পের আদলে না লিখতাম, তাহলে অনেকেই আমার এই সহজ সরল জীবনের কথাটুকু মেনে নিতে পারতেন না সহজে। ভাবতেন আমি হয়ত পরিবারের বা বাবা-মায়ের দুর্নাম করছি। আমি কিছুই করছি না। যা ঘটেছে তাই লিখেছি। যদি কারও ভাল না লাগে, তাহলে নিছক গল্পই ভেবে নিয়েন। সমস্যা নেই। বিগত কয়েকদিন ধরে অনেকেই বাঙ্গি নিয়ে অনেক ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করছেন। তখন আমার নিজের জীবনের এই কাহিনীটুকু মনে পড়ে গেল। কারো ভাল লাগতেও পারে নাও লাগতে পারে এই ফল। আমার ভাল লাগে। নাঈমারও ভাল লাগে। তবে নাঈমা এখন আর তেমন খেতে চায় না। আমি বাঙ্গি পেলেই খাই। বাঙ্গির একটা একটা টুকরা গালে দেই, আর আমার অতীত আমার সামনে বাঙময় হয়ে ধরা দেয়। আমি আমার অতীত ভুলে যেতে চাই না।]