২৬ অক্টোবর ২০২০

আমাদের জীবনের পরিব্যপ্তি আসলে কতটুকু? সেই সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা কি আছে? সেই সাথে যদি বলি, আমাদের স্বপ্নের পরিব্যপ্তিই বা কতটুকু? সেটার সীমারেখাই কি কারো জানা আছে? দু’টো প্রশ্নের উত্তরই সম্ভবত আসবে না। তবুও আমরা কত রকম পরকিকল্পনা করে চলি। জানা অজানা কত কিছু নিয়ে মাথা ঘামিয়ে চলেছি। জানি না আমাদের এই চলার শেষ কোথায় আর কোথায় গিয়ে আমাদের শেষে ঠেকতে হবে। আমাদের জীবনটা কি কিছুটা ঘুড়ির মত? যে উড়াতে জানে, ঘুড়ি নিয়ে খেলতে জানে, সে তাঁর ঘুড়িকে আকাশে ওড়াবে। যে যানে না, সে মাটিতেই স্থবির এক হতাশা নিয়ে বসে থাকবে। হয়তো কখনও মাথা তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে অবলোকন করবে, অন্য ঘুড়িগুলো কতটুকু গেল। আর কারো কারো ঘুড়ি হয়তো কাটা পড়ে চলে যাবে দূর অজানায়। সেটাকে খোঁজার চেষ্টাও হয়তো আর কেউ করবে না। আর কারো কারও ওড়ার সময় ফুরিয়ে যাবেই। সন্ধ্যার আলোর আগমনের সাথে সাথে খেলার সময় শেষ হয়ে আসবে। এভাবেই একসময় ঘনিয়ে আসবে জীবনের সায়াহ্ন। যবনিকা পতন হবে একটা অধ্যায়ের। এরপর শুরু হবে আরেক অধ্যায়। সেই অধ্যায়ের নাম ভুলে যাওয়া। আমরা সবাই ভুলে যাই। আমরা ভুলে যেতে ভালবাসি। অনেক কিছুই মনে রাখতে চাই না। অনেক কিছুই মনে রাখতে হয় না। কারণ আমাদের ভয় হয়, মনে রাখা জিনিসগুলো যদি আমাদের স্বপ্নের পরিব্যপ্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়! কিন্তু ঘটায় না। যা কিছু ঘটে তাঁর বেশীর ভাগই ঘটে আমাদের মানসপটে।

 

এতক্ষণ ঠিক কি লিখলাম নিজেও জানি না। মাঝে মাঝে মনে হয় আবোল তাবোল কিছু লিখে ফেলি। আজ কয়েকদিন ধরে, মনের ভেতরে যে যেন ক্রমাগত কিছু কথা বলে চলেছে। বারবার আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, সময় কম! যা লেখার লিখে ফেলতে হবে। আমি মনে মনে তাঁর সাথে কথা বলি, কিন্তু লেখার মানসিক প্রস্তুতি এখনও নিয়ে উঠতে পারছি না। মনের ভেতর কে যেন ক্রমাগত বলে চলেছে, লিখে ফেলো, সময় আর বেশী নেই। যে লেখার পরিব্যপ্তি নিয়ে আমি এখন ভাবছি, তাতে মনে হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার সাথে একটা অলিখিত চুক্তি করে ফেলি। আমাকে আমার লেখার সময়টুকু পরিমান বাঁচতে দিও প্রভু। অনেক কিছুই লেখার জন্য মনের ভেতর থেকে তাগাদা অনুভর করছি কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, কি দিয়ে শুরু করবো!

 

 

View shawon1982's Full Portfolio