অবোধ মনের কিছু অসংলগ্ন প্রলাপের মত
দাঁড়িয়ে দেখছিলাম গাছের সমান্তরাল আলাপন
ধ্যানে মগ্ন ঋষির মত, কি সুনিপুন নিমগ্নতা
শত বছরের নিমগ্ন ধ্যানে অকাতর
ভেঙ্গে দিল বুঝি সশব্দে এই মনের পাষাণ দ্বার
অবরুদ্ধ কোনঠাসা হয়ে থাকা ভীত আত্মার নৈবেদ্য
কেউ নেয় না,
শুকিয়ে গিয়েছে কত আগে
দেখে মনে হল কেউ দেখে নিল আজই সদ্য
দ’কদম এগিয়ে গেলাম হাওড়ের পাশের রাস্তার ধারে
শুনতে পেলাম জলের ফোঁপানো কান্নার শব্দ
দমকা বাতাসের তোড়ে ম্রিয়মান হয়ে গেল
শুনতে পেলাম না কি বলতে চেয়েছিল চির নির্বাসিত জল
থেমে গেছে কোলাহল
কবিগুরু বলা সেই গৃহহারা পূবের হাওয়া
দুলকি চালে এগিয়ে এসে গ্রাস করে নেবে বুঝি চরাচর
ভুলে গিয়েছিলাম পাশের প্রাণের অস্তিত্ত্ব
ততক্ষণে বুঝে গেছি আমার শরীরে এসেছে মুক্তির পরশ
হাতছানি ডিয়ে ডেকে গেছে এক অনির্বচননীয় কন্ঠস্বর
একঘেয়ে কন্ঠে বলে চলেছে, আয় আয় আয়...
আরেকটু চেষ্টা করে দেখ,
বুক ভরে আয়ু নিয়ে নে
দেখে নে শেষবারের মত-
জীবনের সব পঙ্কিলতা
জলের কাছে রেখে যা তোর সব গোপন আলাপন
তবে কি আমি একটু জল থাকে নেব না, হে কথিত ইশ্বর?
না নিবি না! বলে দিল উদাত্ত কন্ঠে
জলকেও তো বাঁচতে হবে-
ওর জন্য রেখে যা, তোর সারা জীবনের দীক্ষা
মুক্তির প্রয়াসে তোর প্রাণান্ত এক অন্তহীন অপেক্ষা।