১৯ মে ২০২০

 

**শৈশব ও কৈশোর যেভাবে গিয়েছে-৮


** কেমিস্ট্রি/রসায়ন শাস্ত্রের প্রতি ভালবাসা

= = = = =

 

কেমিস্ট্রি (Chemistry) এর প্রতি ভালবাসা আমার সেই শৈশব থেকেই। বলতে পারেন যখন থেকে সায়েন্স বুঝতে শিখেছি অনেকটা তখন থেকেই। ১৯৯৬ সালে যখন ক্লাস এইটে পড়ি, তখন আমাদের একটা সাব্জেক্ট ছিল ‘সাধারণ বিজ্ঞান’। ওই বইতে আলাদা নাম না দিলেও, অণু, পরমাণু, যৌগ, মৌল এসবের উপরে একটা চ্যাপ্টার ছিল। সেখানে টেবিল করে কিছু মৌলিক পদার্থের সংকেত, আর যোজনী দেয়া ছিল। আর মাত্র চার পাচটা যৌগমূলকের সঙ্কেত দেয়া ছিল যেমন, নাইট্রেট, সালফেট, অ্যামোনিয়াম, ফসফেট এসব। জিনিসটা দেখা মাত্রই মনের ভেতর গেঁথে গেল। অন্যরকম ভাল লাগলো। কোচিং করতাম তখন একটা শ্যাওড়া পাড়াতে, নাম ছিল ‘প্যারামাউন্ট কোচিং সেন্টার’। সেখানে একজন স্যার ছিলেন নাম ‘সৈকত নন্দী রিপন’, মেডিক্যালের ছাত্র ছিলেন তখন, উনি পড়াতেন আমাদের বিজ্ঞান।

 

কেমিস্ট্রি’র ঐ চ্যাপ্টার পড়ানোর আগেই, আমি নিজে নিজে অনেক কিছু পড়ে ফেলি এবং মূল ক্লাসের পরে সৈকত স্যারের কাছে শুনে শিখে নেই কিভাবে ক্যাটায়ন আর অ্যানায়নের যোজনী অদল বদল করে লবণের সংকেত লিখতে হয়। স্যার আমাকে একটা দুইটা লবণের সঙ্কেত লিখে দিলেন। আমি বাসায় এসে পৃষ্ঠা ভরে, যতগুলা মেটাল বা ধাতুর সঙ্কেত দেয়া ছিল, সবগুলা দিয়ে র‍্যাডিক্যাল বা যৌগমূলক দিয়ে নানা রকমের লবণের সঙ্কেত লিখে পরদিন স্যারকে দেখালাম। স্যার খুব খুশি হলেন। বললেন, তুমি তো দেখি লবণ এক্সপার্ট হয়ে গেছ। সেই থেকেই কেমিস্ট্রি’র প্রতি আমার ভালবাসার জন্ম।

 

আমার এক কাজিন (আপা) তখন ইন্টারমিডিয়েটে দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। উনাদের তখনকার কেমিস্ট্রি’র বইটা প্রায় প্রমাণ সাইজের ছিল। যারা দেখেছে তারা জানে। নিউজপ্রিন্ট কাগজে ছাপা, বিশাল আকারের সাইজ। ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি’র চারটা পেপারের বই রাখলেই এক তাক ভরে যায় এমন অবস্থা। সেই আপুকে বললাম, সঙ্কেত আর লবণের কথা। উনি প্রথম পত্র বইটা নামায়ে বললেন, মনের সুখে দেখ কত কি আছে! বই খুলে আমার ছোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। আমাদের বইতে মাত্র অল্প কয়েকটা সঙ্কেত যোজনী দেয়া ছিল। এখানে দেখি কত কি! কত রকমের লবণের নাম আর অ্যাসিডের নাম! আমার মাথা প্রায় খারাপ হবার যোগাড়। উনি বললেন, চিন্তা করো না, ক্লাস নাইনে উঠে সায়েন্স নিয়ে নিও, এসব তুমিও পড়বা তখন। মনে মনে ঠিক করে ফেললাম, সায়েন্স আমাকে পড়তেই হবে, তা না হলে এসব লবণ, অ্যাসিড কই পাবো আমি? ভাল লাগার দ্বিতীয় ধাপের শুরু।

 

একদিন সেই কাজিনের বাসাতেই আড্ডা দিচ্ছিলাম আর সমুচা খাচ্ছিলাম। কি এক কথা প্রসঙ্গে সিঁদুর (Vermillion) এর কথা উঠলো। আমি বললাম, সিঁদুরের টকটকা লাল রঙ আমার খুব ভাল লাগে। তখন ওই আপা বললেন, সিঁদুর কিভাবে বানায় জানো? আমি বললাম, লবণ নাকি? কারণ আমার জ্ঞানের দৌড় তখন ওই লবণ আর অ্যাসিডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, উনি বললেন, না এটা লবণ না। এটা এক ধরণের অক্সাইড। লেডের অক্সাইড এক ধরণের। আমি বললাম, লেড মানে সীসা? উনি বললেন হ্যা। আমি বললাম, সীসা তো কেমন ময়লা ময়লা কালো রঙ মত, সেটা থেকে টুকুটুকে লাল রঙ হয় কি করে? বিস্ময়ে আমার চোখ কপালে উঠে গেল। উনি বললেন, এটাই তো কেমিস্ট্রি’র মজা।

 

সমুচা খাওয়া হয়ে গেলে, উনার বইয়ের লেড এর বিক্রিয়া যে অধ্যায়ে আলোচিত ছিল, সেটা খুলে আমাকে দেখিয়ে দিলেন, এই যে দেখ বিক্রিয়া। লেড কিভাবে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে সিঁদুর তৈরী করে। ভাল মত দেখলাম। একটা কাগজে টুকে নিলাম। Pb3O4 অর্থাৎ ‘ট্রাই-প্লাম্বিক টেট্রাঅক্সাইড’ টাই হল সিঁদুর। মনের মধ্যে খোদাই অক্ষরে গেঁথে গেল। আজও ভুলিনি। পরের দিনই সৈকত স্যার কে জিজ্ঞাসা করলাম, স্যার সিঁদুরের সঙ্কেত কি বলেন তো? স্যার হেসে দিয়ে বললেন, আমার মনে নেই। পরে আমি উনাকে বলে, বেশ বাহাদুরী নিলাম! পরে আমি নিজে যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি, তখন জেনেছিলাম শুধু সীসা দিয়েই সিঁদুর হয় তা নয়, বরং পারদ বা Mercury দিয়েও সিঁদুর হয়। সেই ভাবে প্রস্তুত সিঁদুরের সঙ্কেত হল HgS বা মারকিউরিক সালফাইড। সিঁদুরের মত টুকটুকে লাল একটা জিনিস কালো রঙ থেকে হতে পারে জেনে, কেমিস্ট্রি’র প্রতি আমার স্থায়ী ভালবাসা জন্মে গেল। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, আমাকে ক্লাস নাইনে সায়েন্স পড়তেই হবে।

 

ক্লাস নাইনে উঠে সায়েন্স নিলাম অবধারিত ভাবে। নতুন বই কেনার পরে সবচেয়ে আগে যেই বই বেশী ঘেটেছি সেটা হল কেমিস্ট্রি আর অঙ্ক। ফিজিক্স যে ঘাটিনি সেটা নয়। কেমিস্ট্রি নিজের মনের আনন্দেই পড়তাম। সঙ্কেত, যোজ্যতা বুঝতে আমার একটুও দেরী হত না। কোচিং এ পড়াতো, নিজেও পড়তাম। নিত্য নতুন জানার আগ্রহ নিয়েই পড়তাম। তখন আমাদের সেইসব দিনে আমরা ইন্টারনেট, মোবাইল কিছুই দেখিনি, ছিল না। বইটুকুই ছিল আমাদের জগত। রঙ দেখতে পারতাম না শুধু কালো কালো ছাপার অক্ষরে যা জানতাম সেটাই মনের ভেতরে আত্মস্থ করতে চেষ্টা করতাম। আমি কেমিস্ট্রিতেই বেশী নাম্বার পেতাম স্কুলে। মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও সেটাই বহাল ছিল। মাধ্যমিকে আমি কেমিস্ট্রিতে পেয়েছিলাম ১০০ এর ভেতর ৯৬। প্র্যাক্টিক্যাল গুলা খুব ভাল লাগতো। শুধু পারতাম না ভাল ছবি আকতে। সব ছবি মূলত আমার বাবা আর ছোট চাচা এঁকে দিতেন। উনাদের ধন্যবাদ!

 

মাধ্যমিক পাশ করার পর আমার স্বপ্নের বাস্তবায়ন হল, নটর ডেম কলেজে ভর্তি হতে পেরে। আমার ধ্যান জ্ঞান এটাই ছিল, আমাকে নটর ডেম কলেজে ভর্তি হতেই হবে। সৃষ্টিকর্তার দয়ায়, ভর্তি হলাম স্বপ্নের কলেজে। আমার সারা জীবনের গর্ব এই কলেজ! আমার যা কিছু অর্জন, সব কিছুর পেছনে এই কলেজের অবদান। পরিসংখ্যান কে ঐচ্ছিক বিষয় নেয়ায়, আমি ঠাই পেলাম গ্রুপ সেভেন এ। আমার রোল নাম্বার হল #১০১৭১৭০ । এটা এমন একটা সংখ্যা যা নটর ডেমে আমার সমগ্র পরিচয় বহন করে এবং এই কলেজে পড়া কোন ছেলেই মনে হয় এই রোল নাম্বার কে ভুলে যায় না। ইন্টারমিডিয়েটে উঠে আমার আনন্দ অনেক হল, কারণ এখন কেমিস্ট্রি’র দুইটা আলাদা বই। অনেক কিছু জানা যাবে। নতুন নতুন কত কিছু!

 

আমার পরম সৌভাগ্য, গ্রুপ-৭ এর কেমিস্ট্রি’র শিক্ষক হিসেবে পেলাম আমাদের প্রিয় মিঃ সঞ্জিত কুমার গুহ স্যার কে। স্যার আমাদের কেমিস্ট্রি’র দুই পেপারই পড়িয়েছিলেন। আমার প্র্যাক্টিক্যালের খাতাও গুহ স্যারের সিগনেচার করা সবগুলোতে। স্যারের সিগনেচার এখনও চোখের সামনে ভাসে। খুব সুন্দর ছিল দেখতে। আমি আর আমার পাশে বসা বন্ধু পলাশ গুহ স্যারের বাসায় প্রাইভেটও পড়েছি। স্যারের বাসা ছিল কলেজের কাছেই, হাঁটা পথ। ক্লাস শেষ করে স্যারের বাসায় যেতাম। ক্লাসে যেই স্টাইলে স্যার কথা বলতেন, বাসাতেও সেই একই স্টাইলেই পড়াতেন। স্যারের সেই স্টাইল এখনও চোখে ভাসে। কেমিস্ট্রি’র প্রতি চুড়ান্ত ভালবাসা জন্মে গুহ স্যারের আন্তরিকতা এবং বোঝানোর ধরণ দেখে। উনার বোঝানোর পরে বাসায় খুব বেশী না পড়লেও চলত আমার। আজকে আমি যে কেমিস্ট্রি’র ফ্যাকাল্টি, সেটার পেছনেও চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে গুহ স্যারের যত্ন নিয়ে পড়ানো। স্যারের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করি সতত। ইন্টারমিডিয়েটে কেমিস্ট্রিতে ফিজিক্সের চেয়ে অনেক খানিক কম নাম্বার পেলেও, দুই পেপার মিলিয়ে লেটার ছিল। প্রথম পত্রে পেয়েছিলাম ৭৭ আর ২য় পত্রে ৮৪। সব মিলিয়ে ১৬১ পেলাম ২০০ এর ভেতরে। লেটার পেয়ে গেলাম। ফিজিক্সের চেয়ে কম নাম্বার পেলেও মনে একটুও আফসোস ছিল না। কেমিস্ট্রি বলে কথা!

 

কলেজের প্র্যাক্টিক্যালের কথা একটু না বললেই নয়। লবণ মিলাতে হবে প্রায় সেই প্রায় ৭ টার মত কমপক্ষে। কেমিস্ট্রি ল্যাবে ঢোকার আগে অনেককেই দোয়া দুরুদ পড়ে যেতে দেখেছি। যাই হোক, হয় জয় নয় ক্ষয়! এগিয়ে গেলাম। আমি পলাশ রবিন আর শশী! চারজনের গ্রুপ আমাদের! গ্রুপ থাকলেও লবণ যার যার আলাদাই মেলাতে হবে। আমার প্রথম লবণ ছিল কোবাল্ট-সালফেট। কিন্তু প্রথম এক্সপেরিমেন্ট হওয়াতে একটু নার্ভাস ছিলাম। সালফেট মেলাতে পারলাম না। আন্দাজে নাইট্রেট লিখে দিয়ে চলে আসলাম। ক্লাসে বন্ধুরা বললো, তুই কোবাল্ট নাইট্রেট দেখিসনি? রিয়েজেন্ট হিসেবে ছিল তো! কোবাল্ট নাইট্রেট তো একদম লাল আর পানির মত!

 

শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। বুঝে গেলাম আমারটা সালফেট ছিল। কিছুটা মেরুণ রঙের ছিল। কিন্তু মেকাপ পেতে চাইলাম না। মনে মনে ফন্দি আটলাম! যখন ল্যাব থেকে শিটগুলো ফেরত এলো, আমি যথারীতি দেখলাম, অ্যানায়ন অংশ কাটা দেয়া। আমি তো জানতাম এটাই হবে। নিয়ম ছিল, পরের দিন ল্যাবে গিয়ে আগে কাটা অংশটা মেলাতেই হবে। যতদিন না মিলবে, ততদিন একই লবণ দেয়া হবে বারবার। আমি ফন্দি করে, আমার কাগজটা লুকিয়ে ফেললাম। কেমিস্ট্রি ল্যাবে গিয়ে ল্যাব সহকারীকে করুণ মুখে বললাম, আমি তো আমার কাগজটা পাইনি। উনি বললেন, বল কি! আমি বললাম জ্বী পাইনি ত! উনি তখন খাতা খুলে বললেল, আচ্ছা তুমি বলতো তোমার লবণ কি ছিল? আমি নির্বিকার মুখে বললাম, ‘কোবাল্ট সালফেট’। উনি টিক মার্ক দিয়ে বললেন, হয়েছে। তুমি আরেকটা শিটে লিখে আনো। তাই করলাম। সেই যাত্রায় পার পেয়ে গেলাম!

 

এরপরে বই ঘেটে ঘেটে রংধারী লবণে এত অভিজ্ঞ হয়ে গেলাম যে লবণ দেখেই বলে দিতে পারতাম ওটা কি! হয়েও যেত। ঘুরে ঘরে বন্ধুদের লবণ দেখতাম অভিজ্ঞতা নিতাম। পাকা হয়ে গেলাম! এমনও হয়েছে, সহপাঠী অন্য গ্রুপের ল্যাব চলছে, আমি ঢুকে পড়লাম। ঘুরে ঘুরে দুদ্দাড় করে কয়েকজনের লবণের নাম বলে দিয়ে চলে এসেছি। সহপাঠীরা আমাকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রাদার বলে ভুল করেছিল। আমার মজা লাগতো। ক্লাস এইটে যেসব লবণের নাম কাগজে লিখতাম, সেগুলোর অনেকগুলো যখন ল্যাবরেটরীতে সনাক্ত করেছি, সেই আগের মতই ভাল লাগা কাজ করতো।

 

ভার্সিটির প্রসঙ্গ এবার। এবারও আমার একমাত্র ঐকান্তিক ইচ্ছা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ BUET এ আমাকে পড়তেই হবে। আমার সারাজীবনের স্বপ্ন, আমি এঞ্জিনিয়ার হব। চান্স পেয়ে গেলাম ৪০৮ তম হয়ে। কি নিবো, কি নিবো করে, দেখলাম কেমিক্যাল এঞ্জিনিয়ারিং পেতে কোন সমস্যা নাই। কেমিক্যাল এঞ্জিনিয়ারিং!! একে তো এখানে কেমিস্ট্রি’র অনেক ব্যাপার স্যাপার থাকবে প্লাস এঞ্জিনিয়ারিং! আমার জন্য তো একেবারে সোনায় সোহাগা। চোখ বন্ধ করে আমার ফার্স্ট চয়েসে কেমিক্যাল এঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে পেয়ে গেলাম। ৬০ জনের মধ্যে সিরিয়াল অনুসারে আমার রোল হল #০১০২০১০ অর্থাৎ ১০। BUET এ শুধু কেমিস্ট্রি’র যতগুলো অংশ পড়ানো হয়েছিল সেগুলো ছিল-


1. 

Inorganic chemistry

2. 

Inorganic chemistry Sessional (Practical)

3. 

Physical Chemistry-1

4. 

Inorganic chemistry Sessional

5. 

Physical Chemistry-2

6. 

Organic Chemistry

7. 

Organic Chemistry Sessional

8. 

 Instrumental Methods of Analysis


এগুলোর মধ্যে থিওরি ছিল ৩ ক্রেডিট আর প্র্যাক্টিক্যাল গুলো ছিল ১.৫ ক্রেডিটের। উল্লেখিত তালিকার ১ আর ৭ নাম্বারে আমি শুধু A গ্রেড পেয়েছিলাম। বাকী সবগুলাতে A+ । একটু না বলে পারছিনা, ৫ নাম্বারে পুরো ক্লাসে শুধু আমারই A+ ছিল। ঐ পরীক্ষার কথা মনে হলে এখনো ভয় লাগে। বাংলার চেয়েও বেশী লিখতে হয়েছিল। লিখতে লিখতে আমার হাত অবশ হয়ে যাচ্ছিল প্রায় ব্যথায়!

 

এরপরের অংশ বলে আর দীর্ঘায়িত করবো না। BUET পাস করে ছয় মাসের ভেতর National University of Singapore (NUS) এ চলে গেলাম ডক্টরেট করার জন্য। ২০০৮ এর জানুয়ারী থেকে ২০১৩ এর জানুয়ারী থিসিস জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ বছরের যাত্রা। সে অন্য কথা। অন্য কোন আলোচনায় উঠে আসবে সেসব। বর্তমানেও কেমিস্ট্রি’র ভালবাসা নিয়েই আছি। এখন আমি কেমিস্ট্রি’র সহকারী অধ্যাপক! কেমিস্ট্রি দেখলেই ছেলেমানুষের মত মেতে উঠি। আমার জীবনের অর্জিত দর্শন হল-

 Everything is Chemistry and Chemistry is everything.

View shawon1982's Full Portfolio