লেখালিখিতে আমার ক্ষমতা অতিমাত্রায় সীমিত বলতেও মনে হয় বেশী বলা হয়ে যাবে। শুরু করেছিলাম ছড়া দিয়ে। এখনও ছড়া লিখতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। গল্প লিখে হাতে গোনা কয়েকটা। শুরুতে ইংলিশে বেশী লিখতাম, এখন মোটামুটি সিঙ্ঘভাগ বাংলাতেই লিখি। একটা সময়য় ছিল, যখন কবিতা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালাতাম। ইন্টারনেট থেকে নানা রকম কবিতার ফরম্যাট দেখতাম, আর সেগুলোর মত করে নিজে নিজে কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম। একান্তই আমার নিজস্ব চিন্তা ধারা থেকে। এখনও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি। এগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হল Acrostic Pattern Poetry । কোন একটা শব্দ বা বাক্যের আদ্যক্ষর দিয়ে লাইন বানিয়ে বানিয়ে কবিতা! অনেকেই বলে এতে কবিতার গতিশীলতা এবং ধারাবাহিকতা অনেক সময় ঠিক প্রবাহে রাখা যায় না, এতে আমার আপত্তি নেই। চলুক না! হোক না নতুন কিছু!
সম্প্রতি আমি অ্যাক্রোস্টিক নিয়ে নানা রকম গবেষণা করছি। একটি নাম দিয়ে বা একটি শব্দ দিয়ে কতভাবে অ্যাক্রোস্টিক বানানো যায়! মাথায় হঠাৎ করেই এসে গেল আইডিয়াটা। আমার বন্ধু রাজন কে দেখেই অ্যাক্রস্টিক এর মাস্টার! যে কোন বন্ধুর জন্মদিনে তার নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অ্যাক্রোস্টিক বানিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানায়। আমার খুবই ভাল লাগে ব্যাপারটা। আর যাকে উৎসর্গ করা হল, তার না জানি কত ভাল লাগে! যাই হোক, আমি টুকটাক অ্যাক্রোস্টিক অনেক আগে থেকেই লিখতাম। এখন কয়দিন ধরে নানারকম চর্চা করে যাচ্ছি।
এরমধ্যে এসে গেল ছোট ভাই শুভ’র জন্মদিন। ইচ্ছা ছিল ওর জন্মদিনে ওকে ওর ক্যাম্পাসে গিয়েই উইস করবো! তা আর হল কই? তাই ভাবলাম, কি আর করা, আমার অতি প্রিয় ছোট এই ভাইটা জন্য ওর পুরো নাম দিয়ে অ্যাক্রস্টিক লিখি। যে কথা সেই কাজ। লিখলাম ইংলিশে, এরপর ভাবলাম বাংলায় সমস্যা কি? শুরু করলাম বাংলায়। এরপর নানা রকম বৈচিত্র্য দিয়ে এপাশ ওপাশ করে চালিয়ে যাচ্ছি। কাউকে বলে না দিলে সহসা সে বুঝবে না। দারুণ না ব্যাপারটা?