মাত্র শেষ করে উঠলাম সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা অসমাপ্ত দুটি উপন্যাসের সঙ্কলন 'অসম্পুর্ণা'। প্রতিটা অংশ পড়তে পড়তে একদম ডুবে গিয়েছিলাম কাহিনীর ভেতর। সবকিছুই যেন কত বাস্তব। কখন যে শেষ করে ফেলেছি তা বুঝতেই পারিনি। শেষ পৃষ্ঠায় গিয়ে হোচট খেতে হয়েছে, উনি তো লেখা শেষ করে যেতে পারেননি। আহারে, জীবন! সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা আমার খুব ভালো লাগে। খুব যেন জীবনের কাছাকাছি কিছু উপাখ্যান। প্রতিটা অংশ যেন নিজের দেখা আশপাশের প্রতিফলন দেয়। আফসোস লাগে, হয়ত লেখিকা লিখে শেষ করে যেতে পারলে আমরা 'কাছের মানুষ' এর মত মনকাড়া দু'টো লেখা পেতাম। কিন্তু তা আর হল না। কি ছিল উনার চিন্তার অবচেতনে, তা আর কখনও আমরা জানতে পারবো না। আসলেই তো, মৃত্যুর কাছে আমরা সকলেই কত অসহায়, তাই না? বইটি পড়তে পড়তে বারবার মনে হচ্ছিল, যদি কিছু কাগজ আর কলম ওপারে পাঁঠিয়ে দিতে বলতে পারতাম, প্রভু, উনাকে লেখাটুকু শেষ করতে দাও। আমাদের অতৃপ্ত রেখো না।