ছয়//
টলে উঠলো পুরো মাথা, চলে গেলাম এক অঘোর ঘোরে
পৃথিবীর রঙ ধূসর থেকে নীল, এরপর সাদা লাল বেগুনী কালচে
শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগের মত!
সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে- যথেচ্ছা অবিন্যস্ত যত্রতত্র
আমি বাতাসের আশ্রয়ে সাঁতার দিতে চাইলাম
মনে পড়লো আমি সাঁতার জানি না।
ঘেমে উঠেছে সারা শরীর; সারা গায়ে অসহ্য বাথা
এর মাঝেই কাঁপছে মেঝে, কাঁপছে গোটা শহর
দেয়াল আঁকড়ে পতন ঠেকাতে মন চাইলো না
হাত থেকে খসে পড়া ডায়রীর মত আমিও পড়ে যাই
পৃষ্ঠাগুলো এলোমেলো হয়ে গেলো চোখের সামনেই
এরপর বাতাসে উড়ে চলে গেল অজানা নিরুদ্দেশের পানে
এক অমোঘ নিয়তির আকর্ষণে, এক দূর্বিসহ পিছুটানে।
কপাল মুছলাম, রক্ত ঘাম কিছুই নেই-
কিছু উল্টোপাল্টা অক্ষর, ঝাপ্সা পড়া যায় না এমন
আমার ভাগ্য, নিয়তি কিংবা পরিণতিও বলা যায়!
চারিদিকে নেমে এলো গোরস্থানের নীরবতা-
আমি উঠতে চাইলাম, পারলাম না
একরাশ অন্ধকারের চোরাবালিতে আমি ডেবে যাচ্ছি ক্রমশ
উঠার ব্যর্থ চেষ্টা মানেই আরো ডেবে যাওয়া- পরিণতি মৃত্যু
সেও ভাল ছিল! দোদুল্যমান মেঝেতে পড়ে থাকার চেয়ে।
চোখের ক্ষীণ দৃষ্টির সামনেই দুলে উঠলো আবার সাজানো শহরটা
আমি এক বীভৎস শীতলতাকে লগ্নি করে অপেক্ষা করছি
এক গ্রাসে আমাকে তুলে নেবে-
সর্পিলাকার বাস্তবতা- সাপের মত পেঁচিয়ে ধরবে আপাদমস্তক
এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে জড়িয়ে ধরবে আমার দাহ্য নিঃশ্বাস
আর রচনা করতে থাকবে এক উপাখ্যান, শত সহস্র কুহক