এ অরণ্যের শেষ কোথায়?
প্রশ্ন করে করে পৌছুলাম বিরক্তির শেষ সীমায়
উপায় যে নেই
যেতে হবে শেষ পর্যন্ত
কল্পিত লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে
উজাড় করে দিতে হবে নিজেকে
নিঃশেষ করে দিতে হবে তিল তিল করে সঞ্চিত
সবটুকু চাওয়া পাওয়াকে নিয়তির কাছে।
ভেবেছিলাম তুমিই হয়ত আমার নিয়তি
আর আমিও হয়ত পৌঁছে গেছি কাছাকাছি
কিন্তু আশার আলোর ক্ষীণ রেখাটুকুও হার মানলো!
হার মানলো অরণ্যের কাছে-
যেমন হার মানে অস্তগামী সূর্যের কাছে
উড়ন্ত পাখির ডানার সাদাকালোর বিভাজন
সব মিলে মিশে যেন একাকার।
শ্বাপদের রেখে যাওয়া নখের আঁচড়
আমাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সেখানে
যেখানে একদা ভ্রমর খেলতো পদ্ম পাতার আলোড়নে।
এখন সেখানে কতগুলো সর্বভুক সরীসৃপের বসবাস
ক্ষুধার তাড়নায় খেয়ে ফেলে একে অন্যের হাড় মাংসের সবটুকু
জলে স্থলে সৃষ্টি করে নতুন এক মানচিত্র
যার কতটা দেখতে মানুষের মত-
তবুও যেন মানুষ নয়।
রাতের উৎসবে সোল্লাসে মাতে অরন্য
উপায় নেই জেনেও এগিয়ে যেতে হয়, ধীরপায়ে
যদিও মনে পড়ে যায়,
আমার লক্ষ্য ছিল অনেকটাই ভিন্ন।