দুঃস্বপ্নের কালো বেড়ালগুলো
কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনের যাত্রাভঙ্গ করে কি না, আনি না
তবে নিয়মান্ত্রিক জীবনের ছন্দপতন ঘটায় নিশ্চিত।
সেই সাথে বাস্তবের ঘুণপোকাগুলো আরো জীবন্ত হয়
আরো বেশী গভীরে খুঁড়ে চলে
প্রাগৈতিহাসিক জয়যাত্রার পুনরাবৃত্ত ঘটায়।
সারা ঘরে ঘুরে বেড়ায় নিঃশব্দ বেড়ালগুলো
সন্দিহান চোখে তাকায়, শিকার খোঁজে
ইতিউতি চায়, এঘর থেকে অঘরে, প্রতিপলে
কেউ সাড়া দেয় না।
ঘুণপোকাগুলোর একটানা বিরামহীন শব্দ
মগজের উপর যেন হাতুড়ির বাড়ি মারে।
ওরা ক্ষুধায় ক্রমশঃ উন্মাদ হয়ে ওঠে
এখন আমিষ নিরামিষের কোন বাছবিছার নেই
ক্ষুধা মেটাতে খাবার চাই! অনেক উষ্ণ খাবার!
উন্মাদের মত ক্ষিপ্র পায়ে এঘর থেকে ওঘরে
প্রতিটি কোণ আতিপাতি করে খোঁজে
পথ ভুল করে যদি কোন ইঁদুর আসে
হামলে ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে তার আদ্যোপান্ত।
ওদের জিহ্বায় এখন ধর্ষকের উন্মত্ততা
চোখগুলোয় যেন হায়নার হিংস্র উপাসনা
নখরগুলো শাণিত, ঔদ্ধত্যে ভরপুর
ঘুণপোকার বিরামহীন শব্দে ওরা দিগ্বিদিকশূন্য
নখের আচড়ে ফালা ফালা করে ফেলে বাঁধানো বেদী
আজ ওরা শুধু নৈবেদ্য নয়;
স্বয়ং ইশ্বরকেও ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে
আদিম অপত্য অদম্য জিঘাংসায়।