‘অ’ মানপত্র

হে অনিন্দ্য!

 

সন্ধ্যার মেঘমালা কৃষ্ণপক্ষের আকাশে অশ্রু ঝরায়

চাঁদ তখন লুকায় রাধার আঁচলে- আঁধারের জ্যোৎস্নায়

রাতের অববাহিকায় আশ্রয় খোঁজে বিনিদ্র সন্ধ্যাতারা

মন্থর মৈথুনের অভিলাষে আকাশটাকে সিক্ত করলো কারা?

এই বুঝি ছুঁয়ে দেবে বসুন্ধরা বজ্রনিনাদের স্পর্শে

উন্মত্ত বায়ু বয়ে চলে এলোকেশী ষোড়শী বালিকা হরষে!

 

হে অচিন্ত্য!

 

আক্ষেপের বলিরেখা এঁকেছিলো জলছবি সান্দ্র তরলে

রঙ দিয়েছিলো যত্রতত্র- তোমার মানসপটের দ্বন্দ্বে

গেয়েছিলো নিন্দুকেরা জয়গান- মৃত্যুর কল্পতটে...

দুশ্চিন্তার মোড়কে লুকানো চিত্তের প্রতিফলন বিমূর্ত

রুখে দাড়িয়েছিল মনের বিপরীতে; তুমি দেখেছিলে

উর্ধ্ব মরীচিকার আস্ফালনে তখন ভাগফল ছিল বাষ্পীভূত!

 

হে অনির্বান!

 

নিজের হাতে তুমি যাদের পতাকা করেছিলে উড্ডীন

তাদের পদতলে পিষ্ট হয়েই তুমি আজ মহাকালে বিলীন...

আবির কুসুম উষ্ণতার অনুরাগে প্রস্ফুটিত হয়েছিল করতলে,

নয়নে না পেয়ে আশ্রয়, নিয়েছিল ঠাই তোমার কপলে।

দাহিত পাহাড় স্নাত হয়ে নেমে এসেছিলো যে ক্লেদের ধারা

তোমার কপালে রাজটীকা দিয়ে আজ জয়ধ্বনি দেয় তারা!

 

হে অগ্রগামী!

                                

ইশ্বরের সোপান ছুঁয়ে ভুলুন্ঠিত হলো পরমাত্মার প্রতিরূপ

শূন্য হাতে ফিরে গিয়ে দেখেছিলো স্বীয় প্রতিবিম্বের স্বরূপ!

তোমার চরণেই লুটাই- যখন অবজ্ঞা করেছিলে পুরোটাই

চলেই যদি যাবে, হৃদয়টাকে না হয় রেখে যেও ভাই...

স্বেদ-ক্লান্তির দ্বিধাচক্রে লোচনে গোচরে যেথা শিব হয়ে যায় ক্লীব,

মনের অস্তিত্ত্বই যখন অলীক, তখন ভাগশেষ যা রয় তাই পার্থিব। 

Author's Notes/Comments: 

3rd may 2017

View shawon1982's Full Portfolio