বৃন্তচ্যুত অর্ধেক মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য জন্মানো
জন্মের সার্থকতা মুর্ত হয় তরল জীবনের বুদ্বুদের মত
নিজের সাথে নিজের টানাপোড়েনের মধ্যে সৃষ্টি হয়-
সুখ নামক অলীক মরিচীকার ধোঁয়া মেশানো কিছু স্বপ্নের।
কখনও তা তরল থেকে কঠিন!
তবে বেঁচে থাকার অর্থ কি দাঁড়ায়?
আবার সেই ঘুরপাক খেতে থাকি চক্রবলয়ে
সবকিছুর অর্থ খোঁজা মানেই নিরেট বোকামি
যেখানে জীবনের ধ্রুব সত্যই হল পরিবর্তনশীলতা!
আগামীর জন্য বেঁচে থাকার যে পরিকল্পনা-
সে তো বরফের মই দিয়ে আকাশ ছোঁয়ার মিথ্যে আশা
যত উপরেই পা রাখি
উত্তপ্ত পায়ের স্পর্শে-
একের পর এক গলে যেতে থাকে ধাপগুলো।
অনেক চেষ্টার পর আমি নিজেকে আবিস্কার করি
সেই পুরনো, চিরচেনা একান্ত আপন আগের জায়গাতেই
ভ্রম ভাঙে আমার!
অতীত এসে চুম্বন করে যার ঘর্মাক্ত ললাটে-
চোখের সামনেই বরফের সেই মই গলে যায়
পানি হয়ে যায় ফোঁটা ফোঁটা করে
নিস্তরঙ্গ বরফগলা পানিয়ে গড়িয়ে চলে
উপর থেকে ঝরে পড়ে দু’ফোটা ঈষদুষ্ণ বর্ণহীণ পানি!
ক্ষণিকের আলোড়ন তুলে আবার মিশে যায়
হারিয়ে যায় অসীমের বলয়ে-
না ফেরার জন্যই
ঠিক সেই অলীক অবাস্তব অথবা পরাবাস্তব স্বপ্নের মতই।
নিজেকে স্বপ্নদ্রষ্টা ভলে ভুল করেছিলাম
জ্বালা ধরানো চোখে এখন আর ঘুম আসতে চায় না
যে মন বিরাম নিতে জানে না
তা চোখে স্বপ্ন আনবে কিভাবে?
আমি একটি অক্লান্ত ক্লীবজীবনের বাস্তবতায় দেখি নিজেকে
কখনও উর্ধ্বাকাশে চাওয়া
আবার কখনও গুটিয়ে যাওয়া এক শুভ্রশঙ্খ।
রাতের আকাশে নিভে যাওয়া প্রদীপ অথবা মেঘে ঢাকা ধ্রুবতারা
লক্ষ্য শুধু থাকে একটাই-
সত্যিকারের একজন মানুষ হওয়া
বৃন্তচ্যুত অর্ধেক হলেও, ‘মানুশ’।