কখনও লজ্জাবতীর পাতা হয়ে কুঁকড়ে যাই
আবার কখনও পাথরকুচির পাতার ভেতর থেকে জন্মাই!
আমি জন্মের পুনর্জন্ম দেখেছি অনেক বেশী-
এখন সংকোচ নিয়ে মৃত্যুর পুনর্মৃত্যু দেখতে চাই!
কখনও ভেঙ্গে পড়া ঝাড়বাতি হয়ে-
সেটা না হলে অন্তত ঝিনুকের ভাঙ্গা খোলস হয়ে!
যখন ছিল না কিছুই-
চাইতে গিয়ে মাথা মাটিতে স্পর্শ করেছি।
প্রণাম নয়; সংকোচে, কষ্টে আর কিছুটা আত্মশ্লাঘা নিয়ে!
কখনও নিঃশব্দে নুইতে গিয়ে, মাটিতে পড়ে
ঝনঝন করে ধাতব শব্দ হয়ে বাতাসে মিশেছি!
আজো কিছুই নেই; যৎসামান্য নৈবেদ্য মাত্র!
পূজার অর্ঘ্য যখন ছিল; ছিনিমিনি খেলেছি যত্রতত্র!
ভিক্ষুকের মত আবার হাত মেলেছি; নিতে নয় দিতে!
যা আছে নিয়ে নাও! এ তোমার অধিকার।
বিনিময়ে থাকুক দেদীপ্যমান অতৃপ্তি।
চলে যাই আমি পাদ-প্রদীপের আঁধারে-
যদি চাও, খুঁজে নিও আমায় কোন
ক্লেদাক্ত ধ্বংসাবশেষ সংকোচের কারাগারে।