শান্ত ও লাজুক নববধূর মত,
চলেছে বয়ে নদী অবিরত,
সে নদীর ধারে বিজ্ঞ দার্শনিকের মত বটবৃক্ষ দাঁড়িয়ে আছে,
তার পাদদেশে এক জমজমাট মেলা বসেছে।
আছে মিষ্টি মণ্ডা, খেলনা গাড়ি,
লতার মত নারীর গায়ে জড়ানোর জন্য শাড়ি,
আছে নাগর দোলা,
আছে নানান রকম খেলা!
দূর দূরান্ত থেকে,
মানুষ আসে মাছের মত ঝাকে ঝাকে,
মেলার নেশা ধূমপানের মত কড়া,
সহজে যায় না ছাড়া।
শিশুর মুখে হাসি, খেলনা কিনতে ব্যাকুল,
যেন এক সদ্য প্রস্ফুটিত পদ্ম ফুল,
পরম আদরে মা ছেলের একটি আঙুল ধরে আছে,
থেমে থেমে জুয়াড়ির দল হৈ হুল্লোড় কাছে।
কারো হাতে বেলুন, কারো হাতে শখের পাখা,
গোলাপি বাতাসা খেয়ে কারো মুখ জবার মত রাঙা!
কেউ বন্দুক দিয়ে ফুটায় বেলুন, কেউ বাজায় বাঁশি অবিরত,
চেনা অচেনা মানুষের ভিড়ে মেলা হয়ে জীবনের মত উঠে জীবন্ত!