সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী গ্রামে,
১৯১৩ সালে এলো যেন এক স্বর্গীয় দ্যুতি নেমে!
হযরত শাহ জালাল [রহ.] এঁর সফরসঙ্গী হযরত শাহ কামাল [রহ.] এঁর বংশে!
ধরণী হলো আলোকিত, উঠলো সূর্যের শুভ্র আলোর মত হেসে!
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী নামটি তাঁর সুন্দর ভারী,
পিতা মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ চৌধুরী,
এবং মাতা মোসাম্মৎ মাছুরা বিবি চৌধুরী হলেন ধন্য,
এক ফুটফুটে রাজপুত্রের মত সন্তানলাভের জন্য!
ধর্মপরায়ণ পিতা ও সতী-সাধ্বী মাতার সান্নিধ্য পেয়ে,
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী উঠলেন সৎ ও ধার্মিক হয়ে,
শৈশবে নিলেন চির বিদায় স্নেহময়ী মাতা,
কৈশোরে গেলেন পরপারে চলে বুজুর্গ পিতা।
তবুও আশাবাদীর মত তিনি ছাড়েননি হাল কভু,
ভুলেননি সুখে কিংবা দুঃখে ‘আল্লাহ্’ নামটি তবু,
বাল্যকালে হলেন মগ্ন তাসাউফ আর ইলমে মারিফাতে,
ধর্ম প্রচারের পথে সকল বাধাই হলেন পার আল্লাহ্র রহমতে!
ডুবুরীর মত দিলেন ডুব কোরআন-হাদিসের অতল সাগরে,
তরীকতের মুর্শিদ বিজয়ীর মত উঠলেন পরে মণি-মুক্তো আহরণ করে,
শ্রেষ্ঠ অলী ও ক্বারীগণ হতে করলেন শিক্ষা লাভ, করলেন বহু পুস্তক রচনা,
যত করি শেষ হবে না আল্লামা ছাহেব কিবলাহ [রহ.] এঁর বন্দনা!