প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যামের কারণে ব্যাংকের সিকিউরিটি অফিসার আমিন হাসান ইলিশ মাছ হাতে নিয়ে রাত্রি ১১টার দিকে বাসার কাছাকাছি এসে এক অদ্ভুত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আঁতকে উঠে। পথের পাশেই একটি ডাস্টবিন। ডাস্টবিনে ময়লার স্তূপ দেখে ছোটোখাটো টিলার মতন মনে হচ্ছে। যাইহোক, সেখানে বেশ নিবিষ্টমনে গাপুসগুপুস করে ময়লা খাবার খাচ্ছে একটি কয়লার মতন কুচকুচে কালো বিড়াল।
বিড়ালটিকে দেখামাত্রই আমিনের বুক ধড়ফড় করতে থাকে ঠিক যেন খাঁচার ভেতরে থাকা ময়না পাখির মতন। সে যে ভয় পাচ্ছে এ কথা বলাই বাহুল্য। তবুও নিজের ভয়কে তাড়াতে সে দ্রুতপায়ে হাঁটতে থাকে; তার দেহের প্রতিটি রোমকূপ দেয়ালের উপরে নিরাপত্তাজনিত কারণে গাঁথা পেরেকের মতন দাঁড়িয়ে গেছে! সে বিড়ালটির দিকে দুচোখ বড়বড় করে তাকিয়ে বলে,
- কি রে ম্যাও, এতো মনোযোগ দিয়ে তুই কি খাচ্ছিস?
- তাজা ইলিশ মাছ খাচ্ছি!
আমিন বিড়ালের কাছ থেকে একটি ‘ম্যাও’ ডাক আশা করেছিল, সে কোনোক্রমেই এটা প্রত্যাশা করেনি যে বিড়ালটির গলা থেকে এমন পরিষ্কার মানুষের কণ্ঠ বের হয়ে আসবে! সে তৎক্ষণাৎ তার বাম হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে যে সেখানে মাছ নেই, শুধুমাত্র একটি ছোট্ট দড়ি ঝুলে আছে! আমিন তৎক্ষণাৎ জ্ঞান হারিয়ে রাস্তার উপরে লুটিয়ে পড়ে!