রাত ১২টা বাজে তখন। ওরা দুই বন্ধু সামি আর সাঈদা যে যার হোস্টেলের রুম থেকে বের হয়ে আসলো। ওদের ভর করছিলো। কারণ বাইরের লাইটগুলো কে যেন অফ করে দিয়েছে। ওদের মনে হচ্ছিলো কোন একটা ভুতের কাজ হতে পারে। ওরা ওদের সায়েন্স ল্যাবরেটরি রুমের দিকে দৌড়ে গেল। গিয়ে আরও ভয় পেয়ে গেল। কারণ দেখে ওখানে কেউ নাই কিন্তু একটা বোতল থেকে বাবল উঠে সারা ঘর ভরে যাচ্ছে। ওরা অনেক ভয় পেয়ে গেল। এসব কিভাবে হচ্ছে ওরা বুঝতে পারছে না। তাই চিন্তা করলো প্রিন্সিপ্যাল স্যারের রুমে গিয়ে উনাকে বলবে। ওরা স্যারের রুমে গিয়ে দেখে খাটের উপরে কে যেন কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। সাঈদা কম্বল সরিয়ে দেখে ওখানে স্যার তো নেই! তিনটা বালিশ দিয়ে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ওরা আরও ভয় পেয়ে গেল। স্যার গেল কোথায় তাহলে?
ওরা আবার বারান্দায় বের হয়ে আসলো। এসে দেখে ইব্রাহিম, সাফিয়া আর নুয়াইমানও চলে এসেছে। ইব্রাহিম এর মন খারাপ। ও চশমা খুঁজে পাচ্ছে না। ও চশমা ছাড়া ভাল দেখতে পারে না। এদিকে নুয়াইমান সবার চেয়ে ছোট। ও ওর চকলেট টা খুঁজে পাচ্ছে না দেখে মন খারাপ করে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছে। সাফিয়া তার নিজের চকলেটটা দিয়ে দিয়েছে নুয়াইমানকে। সামি ইব্রাহিমের রুমে গিয়ে ওর চশমা খুঁজে দিলো। ওদের সবার ভয় ভয় করতে লাগলো অন্ধকারে। আর স্যারকে না পেয়ে ওরা ঠিক করলো হোস্টেলের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে সবাই। ওরা সবাই উঠানে চলে গেল।
ওরা কথা বলছিল। এমন সময় সামি পিছনে তাকিয়ে দেখে ধবধবে সাদা কাপড় পরে মাথা ঢেকে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। ওরা সবাই ভূত ভেবে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো। দেখলো ওটা নড়ছে না। সামি গিয়ে সাহস করে মাথার উপর থেকে সাদা কাপড় ফেলে দিলো। ওবাক হয়ে দেখলো ওদের প্রিন্সিপ্যাল স্যার ওখানে দাঁড়িয়ে হাসছেন ওদের দিকে তাকিয়ে। হেসে বললেন, কি তোমাদের খুব দেখিয়ে দিলাম তো তাই না? তোমরা কি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলে?
সাফিয়্যা বললো, জ্বী স্যার। অনেক ভয় পেয়েছিলাম আপনাকে রুমে না পেয়ে।
স্যার বললেন, আমি তোমাদের সাথে মজা করেছি। জানো না আজকে হ্যালুইন’স ডে! হ্যাপি হ্যালুইন’স ডে!
ওরা সবাই খুব খুশী হলো। স্যার ওদের সবাইকে চকলেট খেতে দিলো। সাঈদা বললো, লাইট গুলো অফ হয়ে গেল কি কর?
স্যার বললেন, ১২ টার সময় তোমাদের সাথে মজা করবো বলেই তো লাইট অফ করে দিতে বলেছিলাম! ওরা সবাই স্যারের করা প্র্যাঙ্কে অনেক মজা পেল। সবাই একসাথে চকলেট খেতে শুরু করলো। তখন ওদের ভয় কেটে গেছে। এরপর ওরা ওদের যার যার রুমে চলে গেল।