29 January 2014

 

 

আজ সকাল থেকেই কেমন যেন ধুন্ধুমার অবস্থা। ঘুম থেকে উঠার পরেই দৌড় শুরু হইসে। ঘুম থেকে উঠেই মনে হল যে কালকের ফেলে রাখা কিছু কাজ বাকী রয়ে গেছে। আমার কাজ যতটা না ভয় লাগে তার চাইতে বেশী ভয় লাগে নাইমাকে!! কারণ নাইমা এমন ভাবে react করে আমার কোন কাজ বাকী থাকলে সেটা আর না হয় নাই বা বললাম। ফজরের নামাজের পরে মাশওয়ারার পরে ডাঃ আব্দুস সামাদ ভাই মিলনদের হোটেলে নিয়ে সকালের নাস্তা করালেন! তন্দুর রুটি আর ডাল-ভাজি। ইদানিং আমি মনে হয় তন্দুর রুটির ভক্ত হয়ে গেছি। প্রত্যেকদিনই মনে হয় তন্দুর রুটি খাই। কখনও মনে হয় নিজেই বানানো শুরু করি। কিন্তু এখনও ঐ বিদ্যা আমার হাসিল হয় নাই। এরপর বাসায় এসে একটু ঘুম দিয়ে সাড়ে ১১ তা বাজিয়ে দিলাম। এরপর শুরু করলাম এক ভার্সিটি থেকে আসা form-fill up এর কাজ নিয়ে। দুনিয়ার সবচাইতে বিরক্তিকর কাজগুলার একটি।

 

সকালে নাইমার সাথে কিছু বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করলাম। গতকাল এর একটা কথা মনে পড়ে গেলো। চটপটি বিষয়ক। গতকাল বিকালে নাইমা ওদের ছোটবেলার কথা। ঈদের দিনে ওদের বাসার কাছে প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে আলুর চটপটি বিক্রি করত প্লাস্টিক এর বাটিতে করে। ওরা খুব মজাকরে খেত। নাইমা জিজ্ঞাসা করল, যে আমরা ছোটবেলায় এমন কিছু খেয়েছি কিনা? আমি উত্তর দেবার আগেই আম্মু বলে দিল, ‘না ওরা ছোটবেলায় এমন দোকানের খাবার খেত না। ওদের এই অভ্যাস ছিল না’। আম্মুর এই উত্তর শুনে আমার খুব হাসি পেয়ে গেলো। আম্মু মেনে নিতেই পারে নাই যে উনার ছেলেমেয়ে দকানে গিয়ে কিছু খেয়ে নিবে... তাও আবার আলুর-চটপটির মত কিছু!

 

আজ রাতেই ইস্তেমা’র ময়দানে চলে যাব ইনশাআল্লহ। এবারো মুহিতদের সাথে যাচ্ছি। আমাদের মাসজিদ থেকে কাল সকালে যাবে। কিন্তু আগেই যাব। ২০০৭ এর পরে এইবারই আমি ইস্তেমাতে সম্পূর্ণ অংশ নিতে পারছি ইনশাআল্লহ। ২০১২ তে মাত্র একদিনের জন্য যেতে পারছিলাম কিন্তু ওতে কি আর মন ভরে! সারা বছর ধরে অপেক্ষা করি এস্তেমা তে শরীক থাকার জন্য। গত ৫ বছরে আমার এই সৌভাগ্য হয় নাই সিঙ্গাপুর ছিলাম বলে। রেকর্ডিং এ বয়ান শুনে কি আর মন ভরে? রবিবার ফিরে আসব যদি আল্লহ বাঁচিয়ে রাখেন তবে। এর মধ্যে আর ডায়রী লেখা সম্ভব হবে না।

 একটু আগে বিকালে শহিদুল ইসলাম স্যার ফোন করে উনার বিয়ের দাওয়াত দিলেন। উনার বিয়তে হবে ফেব্রুয়ারী’র ২ তারিখে রাতের বেলা বিলাস ভবন কমিউনিটি সেন্টার এ। ঐদিনই আমাদের ইস্তেমা শেষ হবে দুপুর বেলা। আশাকরি ফিরে এসে উনার বিয়ে খেতে পারব।


বিকাল বেলা ছোটদাদা ফোন করে আমাদের বাসার অবস্থা জিজ্ঞাসা করলেন। কিছুদিন আগে আমাদের বাসায় ঘটে যাওয়া ব্যাপারগুলা জিজ্ঞাসা করার জন্যই। ব্যাপারগুলা এতটাই পীড়াদায়ক যে এগুলা নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু কি আর করা। অনেক সময় আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলতে হয়। কিন্তু এমন ঘটনা আমরা আর দেখতে চাই না। দোয়া করি সবাই ভাল থাকুক। কারো জীবনে কোন কষ্ট না থাকুক। আল্লক পাক সবাইকে শান্তিতে রাখুক। আমিন।

View shawon1982's Full Portfolio