আজ কি কোন বিশেষ দিন? জানি না। হয়ত বিশেষ; হয়ত তা নয়। আজ থেকে আমি ভাবছি ডায়রী লেখা শুরু করব। অনেকবার এর আগে চেষ্টা করেও সফল হতে পারি নাই। আলসেমি আমাকে ভীষণভাবে গ্রাস করে নেয় সবসময়। ইদানিং লেখালিখিও করছি না। writer’s block এটাকে বলে কিনা জানিনা। মনে হয় এটাই। কিন্তু আমার এই অবস্থা থেকে নিজেকে উঠিয়ে আনতে হবে।
দুই তিন দিন আগে থেকে নাইমা তার নিজের ডায়রী লেখা শুরু করেছে। প্রতিদিন রাতে খাটে বসে পা দুলায়ে দুলায়ে ডায়রী লিখতে বসে। আর আমি কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে শুয়ে নাক ডাকতে শুরু করি। ও ডায়রী লেখে বলে আমার খুব ইর্ষাও হয়। শেষমেষ আমিও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যে আমিও লেখা শুরু করব। একটা জিনিস শুরু করাটাই কষ্টের। একবার শুরু হয়ে গেলে চলতে থাকে। দেখা যাক এবার কি হয়।
দুপুরে মুহিতকে বলেছি আমার সাথে খেতে। ও রাজী হয়েছে। ওদের মসজিদের জোহরের নামাজের পরে মুহিতের সাথে দেখা হয়। আমাকে বললো যে ওদের বাসা হয়ে আসছে। আমি বাসায় চলে আসি। কিছুক্ষণ পরে মুহিত আসে। আমি দুপুরের খাবার ওর সাথে খাই। মুহিত সম্পর্কে আরও কিছু কথা লিখবো। কিন্তু সেটা এখন না। ছেলেটার প্রতি আমার ভীষণ রকমের মায়া জন্মে গেছে। আমি চাই ওর প্রতি আমার এই মায়া সবসময় থাকুক। আজকে মুহিতকে আমি facebook এ বন্ধু বানিয়ে নিয়েছি। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, মুহিতের মত এমন শক্ত মনের যদি আমি হতে পারতাম!
এখন এই রাতে বসে আমাকে খুব বিরক্তিকর একটা কাজ করতে হচ্ছে। সেটা হল একটা রিপোর্ট লেখা। দুই মাস আগে Renata Pharmaceuticals Ltd (Razendrapur, Gazipur) এর ETP (effluent treatment plant) নিয়ে যে কাজটা করলাম, সেটাকেই এখন রিপোর্ট আকারে লিখতে হচ্ছে। কখন শেষ হবে এই ক্লান্তিকর কাজ? এদিকে নাইমা সারাক্ষণ তাড়া দেয় যেন আমি কাজটা দ্রুত শেষ করে জমা দিয়ে দেই। আল্লহ ভরসা। শুরু করলাম। দেখি কখন শেষ হয়।