মহাকাল স্রোতে দৈবাৎ পদস্খলনে মূর্ছিত হয়ে
চৈত্রের কাঠফাঁটা দুপুরে পথ হারায় ক্লান্ত পথিক।
নৈঃশব্দ্যের উচ্ছ্বাসে গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে ডানা ঝাপটায়
গলিত মৃতদেহের সন্ধানে এক বুড়ো শকুন!
অবরুদ্ধ কিছু পৈশাচিকাঙ্খা জিঘাংসায় মত্ত হয়ে
তাকে তাড়া করে ফেরে! চোখে পাশবিক উন্মাদনা
খুঁজে ফেরে কতগুলো ঠিকানাবিহীন ধ্বংসস্তূপ।
উদ্বেলিত হৃদয় আর কিছু চকিত হৃৎস্পন্দন
হতাশার ধুম্রবাষ্প হয়ে বের হয় বিষ নিঃশ্বাসের সাথে।
কোন অভেদ্য উচ্চাবিলাস থাকতে নেই;
থাকেবে শুধু রক্তাক্ত শুষ্ক ত্বক, মৃত সাগরের লোনা পানিতে ধোয়া!
একরাশ দিগন্ত পাড়ি দেয়া অপেক্ষার জ্যান্ত কিলবিলে স্রোত
ঠিক যেন একাদশীতে উপবাসব্রতা ষোড়সী বিধবার রজঃস্রাব!
পথিক মাথা ওঠায়! ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয়া হল উত্তপ্ত সড়কে-
পিছে ফেরার অবকাশ নেই কারণ সেখানে-
পশরা সাজিয়ে বসে আছে বৃহন্নলা তিরোধান।
অশ্রুতে আর লবণ পানি নেই; আছে শ্বাপদসঙ্কুল কাঁদামাটি,
কতগুলো রক্তচোষা জোঁক আর সাদাকালো কিছু ফানুস!
পথিক বলে ওঠে ঔদ্ধত্বপূর্ণ হিমশীতল স্বগতোক্তিতে-
আমার ইচ্ছা ছিল মানুষ হব; একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ!