থাল ভর্তি করে অন্ধকার দিও
নিবারণ করি আজন্মের পৈশাচিক ক্ষুধা!
যে বিবস্ত্র চোখ যোণীপথে বীর্যস্খলন দেখে না
সে কি করে দেখবে মনের জান্তব উল্লাস?
বিচারকের কপালে দেখি রক্ত দিয়ে আঁকা তিলক
একদম তাজা রক্ত! বাসী রক্তের পুঁতিগন্ধ নেই তাতে।
এমন উলঙ্গ সুখের সময়ে
গর্ভবতী নারীর প্রসব বেদনার আর্তচিৎকার
ক্ষণিকের বিপাকে ফেলে দেয় ক্লান্ত পাকস্থলীকে!
আমি গোগ্রাসে গিলে চলেছি থাল ভরা অন্ধকার।
সব বাতি নিভিয়ে দাও-
অন্ধকারের প্লাবনে মগ্ন করে দাও শান্ত দীক্ষা।
চিতার বহ্নিশিখায় দেখ কে জ্বলছে?
সেই বন্ধ্যানারী? নাকি কোন মায়াবতী রাক্ষসী?
দেবতার আসনে কাকে অর্ঘ্য দিচ্ছো দিনরাত?
যে কিনা পঁচা লাশের গন্ধ পায় না!
অন্ধকারে তুমি কার কাছে ভিক্ষা চাইছো-
যার লাথি খেয়ে কুকুরের মত নেতিয়ে পড়?
আবার সেই নারীর আবেগ মথিত চিৎকারে ঘোষিত হয়-
একটি সন্তান প্রসবের বার্তা! নিরবিচ্ছিন্ন অন্ধকার।