সাবেক সমকামী পর্ন-তারকা ‘স্কি’ কিভাবে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে সেই কাহিনী শুনুন তার নিজের ভাষায়-
আমি লস অ্যাঞ্জেলেসে গিয়েছিলাম আমার শেষ সেমিস্টার করার জন্য কারণ আমার তখনও ইন্টার্নশিপ করা বাকী ছিল। আমাকে লেখাপড়ার জন্য স্টুডেন্ট লোন আর সামান্য কিছু বৃত্তির উপরে নির্ভর করে চলতে হত। আমার মা আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করতে পারত না। বাসা ভাড়া আর পড়ার খরচ চালানোর পরে আমার নিজের খাওয়ার টাকাও থাকতো না। এত কিছুর পরেও আমি ওখানেই থাকতে চাইতাম আর একটা চাকরী খুঁজতাম।
আমি আমার খরচের ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে পড়লাম। কি খাবো আর কিভাবে বাঁচবো এই চিন্তা আমাকে পেরেশান করে ফেলে। আমি হন্যে হয়ে একটা চাকরি খুঁজতে লাগলাম কিন্তু নিয়তির পরিহাস; কিছুই পেলাম না। আমি পার্ট-টাইম চাকরি আর আমার যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো চাকরি খুঁজে চললাম কিন্তু কিছুই ভাগ্যে জুটলো না।
তখন আমি আমার ফোনে একটা সমকামী নেটওয়ার্ক ‘গ্রিন্ডর’ এ একটা লোকের দেখা পেলাম যে নিজেকে ‘মডেল স্কাউট’ বলে পরিচয় দিল। সে আমাকে দেখা করে কিছু তোলার ব্যাপারে বলল। আরও জানালো যে আমাকে কিছু ভিডিও করতে হবে যেখানে আমাকে হস্তমৈথুন করতে হবে; এর বেশী কিছু নয়। ওখানে আর কেউ থাকবে না। এটা তখন আমার কাছে টাকা কামানোর একটা সহজ উপায় বলেই মনে হয়েছিল।
ধীরে ধীরে ঐ একক ভিডিও গুলাই অন্যদের সঙ্গে সমকামী মুভি শ্যুটিং এ পরিণত হল। সেই ‘মডেল স্কাউট’ আমাকে ধারণা দিতে লাগলো যে, এই জাতীয় মুভিতে অনেক গ্ল্যামার আছে আর আমি এটি করে অনেক জনপ্রিয় হয়ে যেতে পারবো অল্প দিনেই। সে আমাকে এটাও ধারণা দিল যে, এই মুভি হল অল্পদিনে উন্নতির শিখরে উঠার উপায়। আমি তখনও কোন চাকরী খুঁজে পেলাম না। তাই ভাবলাম, এটি করে যদি আরো কিছু টাকা কামানো যায় আর উন্নতি করা যায় তো মন্দ কি? ঐ মডেল স্কাউট লোকটা তখন তার সাথে আমাকে বারবার সেক্স করার জন্য বাধ্য করলো পরবর্তিতে আমাকে আরো কাজ জোগাড় করে দিবে এই লোভ দিয়ে। আমার তখন নিজেকে যৌনতায় নিপতিত এক কৃতদাস বলে মনে হল। আমি নিজেকে মনে হল আর সামাল দিতে পারলাম না, কারণ তখনো আমার চাকরীর কোন সংস্থান হচ্ছিল না। আমি ভেঙ্গে পড়লাম। আমি ওদের চক্রান্তে আঁটকা পড়ে গেলাম। উদ্ধারের কোন রাস্তা পাচ্ছিলাম না।
আমার প্রথম মুভিতে, আমাদের নকল মদ পান করার কথা ছিল কিন্তু ওরা দিয়ে রেখেছিল আসলটাই। এটা আমার অনুভুতিকে অবস করে দিলো শ্যুটিঙের সময় আমি কোন কিছুতেই বাঁধা দিতে পারছিলাম না। আমার শরীর যেন আমার কোন কথাউ শুনলো না। কিন্তু এসব করার ব্যাপারে আমার মন কিছুতেই সায় দিচ্ছিলো না। ওরা আমাকে করতে বাধ্য করলো। কি দিয়ে কি হয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। নেশার ঘোরে আমার মাথা কাজ করছিলো না ঠিকমত।
এরপর শরীর পরীক্ষা করে ধরা পড়লো যে আমি যৌনব্যাধি “ক্ল্যামাইডিয়া” তে আক্রান্ত হয়ে গেছি ইতিমধ্যেই। এটা ছিল আমার জন্য চূড়ান্ত বিপদের আগাম পূর্বাভাস। আমি বারংবার ইশ্বরের কাছে ক্ষমা চাইলাম। প্রার্থনা করতে লাগলাম। ইশ্বর আমাকে উদ্ধার করলেন। আমাকে তিনি ক্ষমা করলেন। আমি ইশ্বরের কৃপায় ঐ মাসেই একটা চাকরী পেয়ে গেলাম। ইশ্বরকে ধন্যবাদ।
দুর্ভাগ্যক্রমে আমার ভিডিও বের হয়ে গেল। আমাকে আমার বন্ধুরা ফেসবুক এবং ইমেইল করে জানাতে লাগলো যে ওরা কেউ কেউ সেই ভিডিও দেখেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক একটা ঘটনা। এখন আমি ইশ্বরকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই এজন্য যে, পরিণতিতে আরো ভয়ঙ্কর কিছু হবার আগেই উনি আমাকে এই ভয়াবহ অভিশপ্ত জগৎ থেকে উদ্ধার করেছেন।
(সংগৃহীত)