আমার প্রিয়া চোখে দেখতে পায় না-
আজ পর্যন্ত কখনও আমাকে দেখেনি সে।
আমি দেখেছি তাকে।
আমি তাকে দেখেছি!
গ্রীষ্মের খরায়-
বর্ষার প্রচণ্ড তাণ্ডবে,
শরতের কোমলতায়-
হেমন্তের মাধুর্যতায়;
শীতের কুয়াশায়-
বসন্তের গোধূলির রক্তিম আভায়!
আমার প্রিয়া আমাকে দেখেনি,
আসলে দেখতে পায়নি কখনও!
আমি ডাকলে, আমার দিকে চায়-
দেখতে চেষ্টা করে আমাকে।
আমার অন্তঃকরণ কে! আমার সত্ত্বাকে!
বুঝতে চায় আমার ভালোবাসাকে।
ভাবলেশহীন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রয়,
আলোহীন দুচোখে কত কথা কয়ে যায়!
দু’হাত দিয়ে আমার মুখ স্পর্শ করে-
আর দৃষ্টিহীন দু’চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু।
রঙহীন পানির ফোঁটায় কত কি আছে লেখা-
চোখ দিয়ে আমি আজও তার পেলাম না দেখা।
আমার প্রিয়া অন্ধ-
জন্মান্ধ হয়ে জন্মেছে এই ধরাপৃষ্ঠে!
তার জগতে কোন রঙ নেই, বর্ণ নেই!
আছি শুধু আমি!
দু’চোখের তারায়, পাতায় পাতায়
সে রাঙিয়ে দিয়েছে আমায়-
বর্ণীল করেছে আমার ভুবন!
আমার প্রিয়ার চাহনির কোন উপমা
আজ আমি তোমাদের দেব না!
দৃষ্টিহীন সেই চোখের তারায় আমি দেখেছি
আমার শত সহস্রবারের মৃত্যুসুধা!
আমার আজন্ম লালিত তৃষ্ণা।