ওরা লাশ নিয়ে চলে গেল
ঐতো এখনও দেখা যায়, বেশ দূরে।
আমি কখন থেকে ওদের পিছু পিছু দৌড়ে চলি-
কিন্তু আমি যে এখনও ওদের নাগাল পেলাম না।
বারবার কাঁদায় আছড়ে পড়ি-
সারা শরীর নোংরায় মাখামাখি;
আমি তবুও চলতে চেষ্টা করি; হায়
এখনও তো ওদের ধরতে পারলাম না।
কয়েক কদম হাঁটি-
পায়ের নিচে নেই মাটি!
আমি হতাশ হই না-
আমাকে যে যেতেই হবে ওদের কাছে।
আমি তো এখনও লাশটা দেখতে পেলাম না।
তবে কি ওরা আমাকে দেখতে দেবে না?
ভীষণ কান্না পেয়ে গেল-
এইবার আমি হামাগুড়ি দেই;
ওদের তো আর দেখা যায় না।
চিৎকার করে বলি-
আমাকে ফেলে যেও না।
আমি যে রয়ে গেলাম এখানে-
আমাকে একটি বার দেখাও।
সমস্ত ব্যথা উপেক্ষা করে আমি উঠে দাঁড়াই;
আর বেশী সময় নেই।
এখনি মনে হয় লাশ কবরে নামাবে।
শরীরের সব শক্তি এক করে আমি চলি,
আর নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি-
এইতো আর একটু পথ।
পায়ে পায়ে চলে এলাম গোরস্থানে।
কবরের পাশে লাশ।
নামানোর আগে একবারের জন্য খুলে দিল মুখটা!
আমি দেখলাম।
এযে আমি নিজেই।
নিজেকে শেষবারের জন্য দেখতে চেয়েছিলাম।
দেখে নিলাম।
হয়ত এরপরে আর নিজেকে দেখতে পাবো না।
আমার লাশ!
আমি তো চিনতে পেরেছি!
আমার ভুল হয়নি।
আমি ভুলে যাই নি।
জন্ম জন্মান্তরের লালিত আমার সুপ্ত তিয়াস
মিটে গেল! যখন আমি দেখলাম
আমার নিজের লাশ।