মাত্র ১৯ বছর বয়সী, সাবেক ড্যানিশ পর্ণ তারকা অনিতা রেম্বি বললো তার বিগত জীবনের কথা। সে প্রায় ১৫০ এর মত পর্ণ মুভিতে কাজ করেছে। আর সেগুলোর বেশীর ভাগই ছিল অস্বাভাবিক আর বর্বরোচিত যৌনাচারের। তার নিজের মুখ থেকেই শুনুন সেই কাহিনী-
আমি এটাকে আসলে নিজের পছন্দের মনে করেই শুরু করেছিলাম যেমন অনেকেই করে। আমি আসলে খুব একাকীত্বের যন্ত্রণায় ছিলাম। আমি ডেনমার্কে ছিলাম আবার পরিবারে। আমার বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায় আর তখন আমি ছিলাম অনেক ছোট। আমার সে সময়ের কথা কিছুই মনে নেই।
আমি আর আমার মা একটা দুই রুমের আপার্টমেন্টে থাকতাম। শুধু ছুটির দিনগুলোতে বাবাকে দেখতে পেতাম। আমি উনাকে দেখতে চাইতাম কিন্তু এটা আমার জন্য কোন সহজসাধ্য ব্যাপার ছিল না।
যখন আমার বয়স ১০ তখন আমি নিয়মিত আমার বাবার কাছে যেতা পারতাম। প্রিতি সপ্তাহে ছুটির দিনে আমি উনার কাছে যেতাম। আমি অনেক খুশী ছিলাম। একদিন আমার বাবা আমাকে চাচার কাছে রেখে মার্কেটে গেলেন। চাচা আমার এত ভালো খেয়াল রাখলেন যে আমি উনার কাছে ঐদিন প্রথম ধর্ষিতা হলাম। আমি কাউকে বলি নাই সে কথা।
ঐদিনের পরের থেকে আমি অনেক বেশী একা হয়ে যেতে লাগলাম আর আমার মন অনেক খারাপ থাকতো। বার বার মনে হতো যদি আমি আমার বাবা মাকে বলে দিতে পারতাম যে চাচা আমার সাথে কি করেছে!
আমি স্কুলেও অনেক একা ছিলাম। আমি খুব কম মানুষের সাথেই কথাবলতাম। আমি কোন পার্টি বা মিটিং এ যেতাম না। দিনে ৬-৭ ঘন্টা করে টিভি দেখেই আমার দিন কেতে যেতো।
আমি টিভি তে একদিন এক্তা ক্লাব সম্পর্কে জানলাম যেখানে স্ট্রিপড্যান্স হত। রাতের বেলা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম। মা মনে করতো আমি ঘুমিয়ে গেছি।
আমি তখন বিখ্যাত হতে চাইলাম। নিজেকে সেভাবেই বলতামও। আমি অনেক বন্ধু বান্ধব চাইতাম আর চাইতাম সবাই আমার দিকে মনোযোগ দিক।
আমি অনেক মোটা হয়ে গেলাম। ছেলেরা আমার সাথে কথাও বলতে চাইতো না। আমার অনেক খারাপ লাগতো। আমার মা এইদিকে কোন খেয়াল রাখতো না। সে খালি আমাকে খাবার দিয়েই খালাস।
আমার ১৩ বছর বয়সে আমার বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে আমাকে আর উনার কাছে যেতে দেয়া হয় নাই। আমি মনে মনে ভেঙ্গে পড়লাম।
আমি খাবারের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়লাম। ঠিকমত খেতাম না। তখন আমার অজন অনেক কমে গেল। এরপর দেখতাম ছেলেরা আমার দিকে খেয়াল করছে। অন্ততঃ আমার তখন তাই মনে হত।
ঐবছরই আমি প্রচুর ছেলের সাথে যৌনাচালে লিপ্ত হই। এরপর আমি যখন ১৫ হলাম তখন আমি ইতিমধ্যেই ৬০ এর অধিক ছেলের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছি। অনেক ছিল সেটা ঐ বয়সে। এমনই হয়ে গেলাম তখন।
১৫ বছর বয়সে মায়ের অখান থেকে বের হয়ে যাই আর সপ্তাহে সপ্তাহে মদ খেতে শুরু করি। আমি পার্টিতে যেতে শুরু করলাম আর ওখানের প্রায় সব ছেলের সাথে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়ে যেতাম। আমার একটা ডায়েরী ছিল যেটায় আমি সবার নাম লিখে রেখছি আমি যাদের সাথে শুয়েছি। সবার নাম বয়স এইসব লেখা ছিল। কারো কারো বয়স ৩০ বা তার বেশীও ছিল। ভালই লাগতো তখন। হঠাৎ করেই আমি যেন অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেলাম, আর আমাকে পেলেই ওরা একটু ‘চেখে’ দেখতে চাইতো!
এরপরে আমি আরো একরকম জিনিস পেলাম। আমার কাছে মনে হয়েছিল অনেক ভাল তখন। আমি পাগলের মত হয়ে গেলাম উদ্দাম যৌনাচারে। প্রতি সপ্তাহে আমি কমপক্ষে ৫ জনের সাথে যৌনাচার করতে লাগলাম। ছেলে মেয়ে কোন বাছবিচার ছিল না। আমার কোন টান ছিল না ওদের জন্য। আমি শুধু যৌনক্রিয়াই করতাম। আমি যোনীমৈথুনের পাশাপাশি পায়ুমৈথুন, গ্রুপসেক্স এইসবও শুরু করলাম। আমি তখনো গাড়ি চালানই শিখি নাই অথচ ঐ বছরেই আমার ৪ বার যৌনব্যাধি ক্ল্যামাইডিয়া ধরা পড়ে।
যখন আমার বয়স ১৮ আমি একটা পর্ণ কোম্পানী দেখলাম। আমার যে খুব টাকার দরকার ছিল তাও না, আমি আসলে মানুষের নজরে আসতে চাইতাম। আর বিখ্যাত হবার বাসনা তো ছিলই।
১০ দিন পরে আমার ডাক পড়লো। সেটা ছিল ‘Vanilla Sex’ (সাধারন ভাবে শয্যায় সঙ্গম) এর জন্য। প্রায় ৭০০ ডলার পেলাম। ৬ ঘন্টা লেগেছিল শ্যুটিং শেষ হতে আর লোকটি কনডম ছাড়াই করেছে। আমার মনে হল আমাকে যেন বর্শিতে গেথে নিল।
আমি ওকাহ্নে নিয়মিত শ্যুটিং শুরু করলাম। দিনে কয়েকবার করেও শ্যুট করতে লাগলাম। মাসে আমি ২০ হাজার ডলাদের মত কামাতে লাগলাম। আমি ইচ্ছামত টাকা উড়াতে শুরু করলাম। এবার ঐ কোম্পানীর শুধু ভ্যানিলা সেক্সে চলছিল না। ওরা আরো কিছু চায় যা আমি চিন্তাও করি নাই। আমি গ্যাংব্যাং (একজন নারীর সাথে বহু পুরুষের একত্রিত যৌনক্রিয়া) শুরু করলাম। একবার ৫০ জন ছেলের সাথে গ্যাংব্যাং করলাম, আর ওরা কেউ কনডম ব্যাবহার করে নাই। নিজের কাছে নিজেকে ভীষণ নোংরা লাগলো। কিন্তু তখন যে আমি ডাকসাইটে তারকা(!)।
আমি প্রায় ১৫০ টার মত শ্যুটিং করেছি। এরপর কোম্পানী আমাকে দলে দিল এখন আমি বিদায় হতে পারি। তারা আর আমাকে ব্যাবহার করতে চায় না। আমি নাকি ওদের কাছে তখন বুড়িয়ে গেছি। আমি আমার এক বন্ধুর সাথে কথা বললাম। সে নিজে আমেরিয়াক গিয়ে কিছু পর্ন করেছে, আমাকেও যেতে বলল ওখানে। কিন্তু আমার যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
শেলী লুবেন (পিঙ্ক ক্রসের কর্ণধার সাবেক পর্ণ অভিনেত্রী) আমাকে একটা বই দিলো কিন্তু প্রথমে আমি পাত্তাই দিলাম না। আমি আমেরিকা গিয়ে আরো বেশী করে পর্ণ করতে চাইলাম। একটা এজেন্টের সাথে কথা বললাম। ওরা আমাকে জনপ্রিয়তা, গ্ল্যামার আর বেশী পয়সার লোভ দেখালো। আমি প্লেনের টিকেট বুকিং দিলাম কিন্তু আসলে আমার দেশ ছেড়ে আমার যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
মনের মধ্যে আমি জানি আমি আসলে পর্ন করতে চাইনি। আমি আসলে সবার কাছে আর সবকিছু থেকে নিজেকে আড়াল করতেই চেয়েছিলাম। পরে দেখলাম পর্ন আমাকে শুষে খেয়ে নিচ্ছে। আমি ভীষণ ক্লান্ত আর বিরক্ত হয়ে গেলাম সবকিছুর উপরে। আমি বের হয়ে গেলাম ওসব থেকে। এটা অনেক কঠিন, এখনও কঠিন।
বাজে খরচের এমন অভ্যাস হয়ে গেছিলো যে যখন হাতে টাকা ছিলো না তখনো ধার দেনা করে টাকা উড়াতাম। ব্যাঙ্কের কাছে ত্রিশ জাহার ডলারের দেনা হয়ে গেলাম। আমি এত টাকা খরচ করেও কিছুই কিনতে পারি নাই। কাজেই পর্ন আমাকে কি দিলো? মোটা অঙ্কের দেনা, যৌনব্যাধি, আর মানুষের ধারণা আমি একটা রাস্তার ‘মাগী’।
আমি আবার নিজের জীবন গঠন করতে শুরু করলাম। আমি এখন ৯-৫টা একটা হোটেলে ওয়েট্রেসের কাজ করি। একজন বয়ফ্রেন্ড পেলাম কিন্তু সেও আমাকে ছেড়ে গেল আমার অতীত জীবনের কথা জানতে পেরে। আমি এখনও ওয়েট্রেসের কাজ করে যাচ্ছি। আমি এখন মাসে ৫ হাজার ডলার কামাতে পারি। জীবনে এর চেয়ে বেশী সুখী আমি আর হইনি, এখন যেমন আছি!
আমি প্রত্যেকদিন আমার মাকে দেখতে যাই। জীবনের ছোট ছোট জিনিসগুলাও আমি এখন উপভোগ করতে পারি। ফুল, সূর্য, একজন মানুষের মুখের হাসি, ছোট বাচ্চার খেলাধুলা সব!
পর্ন মানুষকে শেষ করে দেয়। এটা বন্ধ করা দরকার। আমরা অনেক ভালো জীবন আসা করি। আমি এখন অনেক শক্ত হয়ে গেছি। আর চাইনা এই বাজে জায়গা আমাকে শেষ করে দিক। আমি জানি আমি এটা পারবো। আমি আশা করবো অন্যরাও যেন সরে আসে। পর্ন ছেড়ে দাও আর স্বাভাবিক জীবনে চলে আসো। জীবনে সুখী হও। আমরা আসলে জীবনে যা হতে চাই, আমরা তার চাইতেও অনেক বেশী ভালো। আমরা আসলেই তাই।
(সূত্র- ইন্টারনেট)