বিশ্ববরেণ্য কবি, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক Wole Soyinka নাইজেরিয়া তে জন্মগ্রহন করেন। উনার লেখায় নিপীড়িত মানুষের জীবনের মর্মব্যথা প্রতীয়মান হয়। বিনয়ী এই কবি উনার অতুলনীয় সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮৬ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। উনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিত্ব যিনি এই সন্মাননা লাভ করেছেন। আমার জীবনের স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে সেই দিনটির কথা যেদিন এই মহান ব্যক্তিত্বকে আমি নিজের চোখে দেখেছি এবং উনার স্বরচিত কবিতা উনার নিজের কণ্ঠে আবৃত্তি করতে শুনেছি। কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, উনার লেখা জনপ্রিয় একটি কবিতার ভাবানুবাদ তুলে দিচ্ছি এখানে।
Civilian and Soldier
My apparition rose from the fall of lead,
Declared, 'I am a civilian.' It only served
To aggravate your fright. For how could I
Have risen, a being of this world, in that hour
Of impartial death! And I thought also: nor is
Your quarrel of this world.
You stood still
For both eternities, and oh I heard the lesson
Of your training sessions, cautioning -
Scorch earth behind you, do not leave
A dubious neutral to the rear. Reiteration
Of my civilian quandary, burrowing earth
From the lead festival of your more eager friends
Worked the worse on your confusion, and when
You brought the gun to bear on me, and death
Twitched me gently in the eye, your plight
And all of you came clear to me.
I hope some day
Intent upon my trade of living, to be checked
In stride by your apparition in a trench,
Signaling, I am a soldier. No hesitation then
But I shall shoot you clean and fair
With meat and bread, a gourd of wine
A bunch of breasts from either arm, and that
Lone question - do you friend, even now, know
What it is all about?
জনতা ও সৈনিক
চৈতন্যদয় হয়েছিল, যখন হারালাম ক্ষমতা
বলেছিলাম, ‘আমি সাধারণ মানুষ’। শুধু লড়ে যাওয়াই
লক্ষ্য ছিল এই ক্ষমতার! কিন্তু কিভাবে হল
আমার উত্থান? একজন মানুষ হিসাবে? তাও কিনা যখন আমার হল
আংশিক মৃত্যু! আমিও ভেবেছিলাম তাই! এ শুধু নয়
তোমার একার জাগতিক চেতনা!
তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলে
দ্বৈতাস্তিত্বের সন্ধিক্ষণে, আর আমি নিয়েছিলাম দীক্ষা
তোমারই প্রশিক্ষণের! সতর্ক-
মাটি আঁচড়ে পিছু ডেকেছি, ছেড়ে যাও না-
দ্বিধান্বিত স্বরে। একজন সাধারণ মানুষের মত করে, গর্ত খুঁড়ে
ক্ষমতা চাপা দিয়ে ছেয়েছিলাম; তোমার অন্য বন্ধুরা তোমায়
দ্বিধাদ্বন্দ্বের আবর্তে ফেলে দিল। আর যখন তুমি বন্দুকটা এনে
আমার উপরে ভার দিলে, আর চুপিচুপি দেখলে কিভাবে আমি
মৃত্যুর খেলার পুতুল হয়ে গেলাম; তখনই তুমি আর রইলে না!
আমার আর জানতে বাকি নেই, তুমি যে করলে নিছক ছলনা!
আমি বিশ্বাস করি সেদিন আসবে
আমার বেঁচে থাকার আকাঙ্খা তোমার নিরীক্ষণে বিবেচিত হবে
আমি কতখানি ছিলাম ভীত, সৈনিক ব্যারাকে!
ওহে! আমি সৈনিক। এখন আর কিসের দ্বিধা যদি আমি তোমাকে
বন্ধুরূপে বেঁধে নেই? সামান্য মাংশ রুটির আপ্যায়নে; আর একটু পানীয়?
দু’হাতের বাহুযুগল থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা মাংশপেশী, আর হৃদয় কোনে
অথর্ব এক প্রশ্ন বাজে- বন্ধু হে, এখনও কি তুমি বুঝতে পারলে?
কি শুধালাম তোমায় জীবনের এই পিছুটানের মায়াময় সন্ধিক্ষণে?