আজকে সকালে কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভুতি নিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। নিজের কাছেই কেমন যেন মনে হচ্ছিল। আসলেই আমি এই জগতে আছি তো? নাকি আমি অন্য কোন জগতে চলে গেলাম? দারুণ একটা অনুভুতি। ঘুম থেকে উঠে মনে হচ্ছিল ভালই তো ছিলাম। এভাবেই যদি চলে যেত তাহলে দারুন হত।
অনেকের কাছে শুনেছি যে স্বপ্নের নাকি কোন রঙ থাকে না। স্বপ্ন নাকি সাদাকালো হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে কথাটা সত্য নয় কারণ আমি স্বপ্নের মধ্যেই রঙ দেখতে পাই। কোন অসুবিধাই হয় না। ঘুম থেকে উঠার পরেও স্বপ্নের কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মনে থাকে না। কিন্তু আজ ছিল।
মানুষ কি তার নিজেকে কখনো দেখতে পায়? পায় না। এটাই তো আমাদের সীমাবদ্ধতা। আমরা যতই বড়াই করি না কেন নিজেকে কতটুকু দেখতে পাই আমরা? নিজেকে কতটুকু আবিস্কার করতে পেরেছহি আজ পর্যন্ত? মনে হয় খুব একটা বেশী জানতে পারি নাই। জানা সম্ভবও হয়ে ওঠে না। আমি আজ স্বপ্নে দেখলাম আমি আত্মা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমি সবার কাছে যাচ্ছি সবার সাথে কথা বলতে চাইছি কিন্তু কেউ আমাকে দেখতে পায় না। দেখতে পাবেই বা কিভাবে? আমি যে আত্মা হয়ে আছি। আমি নিজে এসে আবার নিজের শরীরকেও দেখে গেলাম। অদ্ভুত কান্ড! এক সময় যখন দেখলাম কেউ তো আমার কথা শুনছে না, তখন রেগে চিৎকার করে কথা বলতে শুরু করলাম। এতেও দেখি কারও বিকার নেই। কারণ আমি আত্মা! কেউ আমার কথা শুনবে কেন? খুব কষ্ট পেতে লাগলাম। ভাবতে লাগলাম কেন এমন হল আমার সাথে? তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, মানুষের আত্মা কিভাবে কষ্ট পায়। মানুষের অনুভুতি আসলে তার আত্মার সাথে সম্পর্কিত। আমাদের শরীরটা শুধু আত্মার ধারক মাত্র।