বহুদুরের পথ পাড়ি দিয়ে! মনে পড়ে; আমার ছোট্ট ঘরে,
চাঁদ-সুরুজের আলো তো নয় যেন সোনা রূপা ঝরে।
মা কে আমি কতদিন দেখি না; এই প্রবাস জীবনে এসে-
‘ভাত খেয়ে নে খোকা!’ কই কেউ তো বলেনা হেসে!
দেশের জন্য মন কাঁদে! কেউ তো দেখায় না আলো,
কেউ তো এসে বলে না, ‘কি রে! কেমন আছিস? ভাল?’
চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে যাই; মেলে না একটু ছায়া-
এতদিন পরেও ভুলতে পারি না, আমার দেশের মায়া।
এদিক ওদিক চাই; কেউ কারো নয়! কেউ দেখে না ফিরে,
কত বছর পার হল! যেতে পারলাম কই মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে?
যত কিছু থাকুক না কেন, প্রবাস মানেই তো পর!
শত জনমেও মেলে না সেথা, নিজের ঘরের আদর।
কপাল থেকে ঝরায়ে ফেলি রাস্তায়, ক’ফোটা ঘাম-
দুঃখে যেথা সান্ত্বনা নেই, কষ্টের পরে নেই আরাম!
পথে পথে হাঁটার মাঝে যদি কভু শুনি বাংলা ভাষা-
খরাতপ্ত মরু জীবনে জেগে ওঠে এক টুকরো আশা।
সবকিছু ছেড়ে দিয়ে মনে হয় উড়াল দিয়ে যাই দেশে,
সোনার মাটি ছেড়ে কেন বেঁচে থাকা কাঙ্গালের বেশে?
কি যে মায়া ছড়ায়ে রয়েছে আমার দেশেরই পথের বাঁকে-
হাতছানি দিয়ে মনের গভীরে আমায় সদাই যেন ডাকে।