আমি গর্ব করবো না তো কে করবে?
জানো না? আমি একটা পুরুষ মানুষ?
আমার একটা পুরুষাঙ্গ আছে-
আমি ইচ্ছামত ধর্ষণ করতে পারি।
আমাকে কে দিবে বাঁধা?
নীতি নৈতিকতা কে আমি হত্যা করি;
আমি একাই লিঙ্গভেদের সমাজ গড়ি।
আমি গর্ব করবো না তো কে করবে?
স্বাধীনতা যুদ্ধে আমি দেশকে ধ্বংস করেছি;
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে ছেড়েছি।
করবই তো! সবকিছু যে আমার পদতলে-
ক্ষমতা থাকবে আমার করতলে!
আমি দেশের সম্ভ্রম কে করবো বিনষ্ট-
আমি গর্বিত! আমি হব না কভু ভ্রষ্ট।
আমি যে আজ হয়েছি দেশের মাথা-
সবার বিবেচনাকে করে ছাড়বোই ভোঁতা।
হ্যাঁ হ্যাঁ আমি যা খুশি তাই করব-
বে আসবে আমাকে প্রতিরোধ করতে?
অসহায় মেয়েদের সতীচ্ছদ বিদীর্ণ করে
তাদের আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে মারবো।
এরপর গালি দেব নষ্টা, কুলটা বলে।
আমাকে প্রত্যাখ্যান করবে?
কার আছে এতো সাহস?
এসিড দিয়ে আমি তার মুখ জ্বালিয়ে ফেলব।
কে আছে আমাকে কলঙ্কিত করবে?
কি আছে তার প্রমাণ?
যেহেতু আমার আছে পুরুষাঙ্গ-
আমি তো পাবই পাব সব সন্মান।
আমি যত খুশি ধর্ষণ করে যাব-
থাকবে না কোন চিহ্ন।
এরপর আমি আবার বিয়েও করে
বৈধ ব্যবহার করবো শিশ্ন।
আমি যৌতুক নেব।
যা যা আমার ইচ্ছা হয়;
আমি জোর করেই নেব।
না দিলে আমি নির্যাতন করবো
অসহায় একটি মেয়েকে।
উরুসন্ধির ফাঁটল নিয়ে যে
প্রতিনিয়ত ঢাকে তার কষ্টকে।
অত্যাচার করে যদি বৌকে মেরেও ফেলি?
কারো কিছুই যাবে আসবে না।
এতেও তো আসবে না কারো হুঁশ।
জানো না? আমি একটা পুরুষ মানুষ?
এই সমাজ সভ্যতা তো আমার।
চলবেও আমার কথা মতই।
আমিই যে এই সমাজের গর্ব।
আমাকে দিয়েই শুরু-
আমাকে দিয়েই শেষ হবে,
সমাজ সভ্যতার পর্ব।
আমার গায়ে লাগবে না কোন কলঙ্ক।
মেলাতে হবে না কোন হিসেবের অঙ্ক।
যীশুর ন্যায় আমি ঝোলাব মানবতার ক্রুশ!
জানো না? আমি একটা পুরুষ মানুষ?