নাঈমা যখন আজান দিয়া
কইল তার পরীক্ষা,
বুঝতে হবে এখনো তার
হয় নাই পুরা শিক্ষা।
পড়তে বইসা নাঈমা বেগম
পুরাটাই দিছে ফাঁকি,
পরীক্ষা উনি দিবেন কি
পড়া যে সব বাকী।
পরীক্ষা দিতে বইসা উনার
মাথা গেছে ঘুইরা,
কি লাভ হইল রে ভাই
রাত জাইগা পইড়া?
লিখতে বইসা সব কেমন
উলটা পালটা লাগে,
হলে বইসা নাঈমা বানু
মস্তানি দেখাইবো কাকে?
এক লাইন লিখা উনি
১০ মিনিট করেন চিন্তা-
কিসের মধ্যে কি যেন
ঘি দেয়া ভাত পান্তা।
আধা আধি লেইখা উনি
বের হয়ে আসেন-
বের হয়ে আইসা ভাই
খুব ভাব ধরেন।
লোকে জিগায়, কি নাঈমা
পরীক্ষা দিলা কেমন?
নাঈমা কয়, আবার জিগায়
দিছি যেমন তেমন।
বাসায় আইসা চিন্তা করে
সত্যি কথা কইলে-
মাইরগুলা মাটিতে না
পড়বো সব শইলে।
চিন্তা কইরা বের করুম
১০১ টা অজুহাত-
কেউ কিছু জিগাইলেই
হান্দায়ে দিমু বাম হাত।
শেষমেষ নাঈমা কইল,
শীত করতাছিল মেলা-
তুমি যদি থাকতা না
বুঝতে কেমন ঠ্যালা।
শীতের জ্বালায় প্রশ্নগুলা
পারি নাই সব লিখে,
চউক্ষে তখন আন্ধার দেখি
হাত গেছিলো জমে।
আসল কথা কি আমি কই-
পড়ছে নাঈমা ঠেকা,
নাচতে না জানলে রে ভাই
উঠান লাগে বেকা।