এখনও যে বেঁচে আছি, দেখতে পাচ্ছ কি?
এখনও আমার শ্বাস বাকী আছে, টের পাচ্ছ?
কার জন্য বেঁচে থাকা? কার তরে আমি ধন্য?
সে যে শুধুই তুমি, শুধু যে তোমারই জন্য!
ক্লান্ত অবসন্ন মনে আমি কাকে খুঁজে বেড়াই?
নিঃসীম অন্ধকারেও আমি কাকে দেখতে পাই?
কার জন্য আমার মনে হাহাকার অরণ্য?
সে যে শুধুই তুমি, শুধু যে তোমারই জন্য!
নাগরিক যান্ত্রিকতার আড়ালে এই আমি-
পথ হাতড়ে একাই দিশেহারা হয়ে পড়ি!
বার বার সেই মুখটাই আমি দেখি অনন্য,
সে যে শুধুই তুমি, শুধু যে তোমারই জন্য!
মরতে মরতেও বেঁচে থাকাই বা আর কেন?
মনের গহীনে এতদিন লুকিয়ে ছিল যে আশা-
তুমি এসে করে দিয়েছো আমার জীবন পূর্ণ,
সে যে শুধুই তুমি, শুধু যে তোমারই জন্য!
বিশাল প্রান্তরে আবিস্কার করলাম নিজেকে,
তিরস্কার আর ধিক্কারে মনটাই গিয়েছিল ভেঙ্গে!
তখন পূর্ণ হয়ে গেল আমার যা ছিল শূন্য-
সে যে শুধুই তুমি, শুধু যে তোমারই জন্য!
মনের গহীনে জমিয়ে রাখা আমার ভালবাসা,
সযতনে তুলে রেখেছিলাম আমি তোমার তরে,
সব পাপ পঙ্কিলতা আর জরাকে করে বিদীর্ণ,
সে যে শুধুই তুমি, শুধু যে তোমারই জন্য!
আমি আমার পাশে কাকে যেন সদা দেখতে পাই,
মনে হয়, এইত ছিল! আমার মনে হয় সে নাই!
যার অভাব আমার অন্তরটাকে করেছে জরাজীর্ণ,
সে যে শুধুই তুমি, শুধু যে তোমারই জন্য!