সকাল বেলা নাঈমা কয়
খাইয়া গেলাম ধরা!
এত বেলা হয়ে গেল,
মেলা বাকী পড়া!
সাঁঝ সকালে নাঈমা আপু’র
রুচি নাই পরাটায়,
উনার নাকি ভোর হয়
বেলা দুপুর বারোটায়!
পড়তে বইসা হইয়া যায়
নাঈমা’র মেজাজ তিরিক্ষা,
পড়ে আর চিন্তা করে
দিমু না আর পরীক্ষা।
কি হইব পড়া লেখা
কিতাব পত্র দিয়া?
এখন আমার চিন্তা কি?
হইয়া গেছে বিয়া!
নাঈমা আপু যাই হোক
সেটাই নাই ব্যাপার-
খবর হয় কেবল শুধু
একলা জামাই ব্যাটার!
ওরে যখন জিগাই আমি
কেমন পার বাংলা?
কয়, এইসব জিগাও ক্যা?
তুমি মিয়া হ্যাংলা।
‘ছাও’ একটা বাংলা শব্দ,
অর্থ নাঈমা জানে-
নিজে একজন বাঙ্গালী তা
মনে প্রানে মানে।
আমাদের নাঈমা বেগম
নয় মোটেই বাচ্চা,
বয়স তার হইয়া গেছে,
ঘটনা কিন্তু সাচ্চা!
‘পরিপ্রেক্ষিত’ শব্দটারে-
নাঈমা কয় ‘প্রেক্ষিত’,
শুদ্ধ কইতে কইলে তার
নইড়া যাইবো ভিত!
নাঈমা কয় আমার নাকি
মেজাজ মেলা হাইপার-
এর মধ্যেও আছে কিন্তু
অনেক রকম ব্যাপার।
নাঈমারে বানান জিগাইলে
জইমা যাইবো খেলা,
বেশী যদি জিগাও তবে
দুঃখ আছে মেলা।
বানান জিগাইলে নাঈমা কয়,
কি ভাবছো আমারে?
সকাল বিকাল বেচতে পারি,
তোমার মত জামাইরে!
নাঈমারে কইলাম আমি,
Date মানে খেজুর,
এটা নাকি উনারে,
শিখায়নি কোন হুজুর!
বেশী কিছু জিগাইতে ভাই
মনে লাগে ভয়!
উত্তর দিতে গিয়া শেষে
না জানি কি কয়!
নাঈমা আমারে প্রায় বলে,
আমি নাকি immature-
বানান যদি জিগাই আমি,
বানায়ে দিবো আমচুর।
নাঈমা বেগম আমার থেকে
দূরে করেন অবস্থান-
ভুলেই যাই উনি যে
বাইশটেকী’র মস্তান।
নাঈমা যখন ঝাড়ি মারে
রাখেনা কিছু আস্ত,
মস্তানি করতেই উনি
সদা সর্বদা ব্যস্ত।
আমার উপরে নাঈমা’র
দায়িত্ব হইছে ন্যাস্ত-
ওর চিন্তা করতে করতেই
হইয়া যায় দাস্ত।
পড়া লেখায় উনার ভাই
নাই কোন মনোযোগ-
যদি পড়তে বলি তবে
হয়ে যাবে গোলযোগ!
ক্যাচাল শুরু হয় তখনই
যখন ধরি বানান,
এটা ওটা বলে নাঈমা
বাহানা করে নানান।
পড়তে বইসা নাঈমা আপু
দেয় যখন ফাঁকি-
পরীক্ষার আগে বই খুইলা
দেখে সবই বাকী!
মস্তান হইলেও নাঈমা কিন্তু
মানুষ খুবই ভাল,
আমার ঘরে আইসা ও
ঘর করছে আলো।
ঝগড়া করে যখন আমার
শেষ হয়ে যায় ভাষা-
বুঝতে পারি আমার জন্য
নাঈমা’র ভালবাসা।