মনে হয় এইত আমার পাশেই ছিল
কিন্তু তারপরেও অদৃশ্য হয়ে গেল,
এরপর থেকে আর পেলাম না দেখা,
জানি না কিভাবে রবে তার কথা লেখা।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি তাকে চিনি,
অনেকদিন থেকেই আমি তাকে জানি!
আবার মনে হয় আমি তাকে জানি না,
অনেক চেষ্টা করেও তাকে খুঁজে পাই না।
কখনও মনে হয় এই বুঝি সে ডাকে,
কখনও মনে হয় দেখলাম রাস্তার বাঁকে!
সেদিন গভীর রাতের কথা মনে পড়ে যায়,
আমি একাকী হাঁটছিলাম নির্জন এক রাস্তায়!
আমার পকেটে ছিল ঘরের এক গোছা চাবি,
আপন মনে আমি হাঁটি এর অনেক কিছু ভাবি!
যেই চিন্তার আসলেই কোন কূল-কিনারা নাই,
বাতাসের আমি গাছের পাতার শব্দ শুনতে পাই।
রাস্তার মাঝে আমি দেখি আলো আঁধারির খেলা,
রাতের আকাশে ভাসছে কিছু সাদা মেঘের ভেলা।
ছায়াসঙ্গী হয়েও যে এল, তাকে আমি চিনি-
আমি যে তার কাছে ছিলাম বহুদিনের ঋণী!
জানি না কিভাবে আমি শুধবো তারই ঋণ,
নইলে যে আমি হব নিতান্তই শ্রীহীন!
অবশেষে তুমি যখন এলেই মোর কাছে,
ধরা না দিয়ে গেল ঘুরছ আমারই পিছে?
কায়া না হয়ে কেন ছায়া হয়ে এলে?
এলেই যদি, তবুও কেন ধরা নাহি দিলে?
কি আনন্দ লভিছো তুমি এই খেলা খেলে?
আমায় পরাজিত করে তুমি কেমন মজা পেলে?
যদি নাই আসো তবে ডাকবো না কাছে-
শুধু শুধু হতাশায় কেন ঘুরবো মিছে?
দূর থেকে আলেয়াকে লাগে বড় ভাল,
আলোর মাঝে ছায়ার রূপ লাগে বড় কালো।
এরপরেও কথা থাকে, অনেক কিছুই বাকী,
সব যদি শুনতে চাও তবে দিওনা আর ফাঁকি।
আলো আঁধারির মাঝে তুমি যতই কর ভঙ্গী,
সত্যি করে বল আমায়, কে তুমি ছায়াসঙ্গী?