'মেঘ' নামে কবিতা লিখেছি
এইত কিছুদিন আগে,
মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে
বেশ ভালই তো লাগে।
ক্লাসের মাঝে কবিতাটা আমি
দিলাম বন্ধুর হাতে,
কেউ আবার জানতে চাইল,
‘কি লিখেছিস ওতে?’
লেখাটুকু পড়া হলে পরে
বন্ধু আমাকে শুধায়,
‘লেখার মধ্যে কেমন যেন
দুখী লাগলো তোমায়?’
আমি বলি, ‘হঠাৎ কেন
এরূপ মনে হল তোমার?
সত্যি বলছি এখন আর
কোন দুঃখ নেই আমার’।
অতীতে আমি করেছিলাম
ভীষণ একটা ভুল,
চড়া মুল্যে আজো দিচ্ছি
সেই ভুলের মাশুল।
কি হয়েছিল যদিও তোমারা
সকলেই তা জানো,
এরপরও দু’একটা কথা
বলছি তবে শোনো।
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে
করে ফেলেছিলাম পাপ,
বিবেককে আজ দংশন করে
সেই মহা অভিশাপ।
শুধুই বন্ধু হতে চেয়েছিলাম
স্বার্থ ছিলনা কোন,
সে তো ভেবেছিল, আমি এক
প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম যেন!
মিথ্যার আড়ালে বাস করে সে
নিদারুণ স্বার্থপর,
স্বার্থের মোহে আজ সে
আপনকেই করেছে পর।
একদিন যাকে না দেখলে
কিছুই লাগতোনা ভাল,
আজ আমার তাকে দেখলেই
মুখ হয়ে যায় কালো।
বন্ধুত্বের মধুর সম্পর্ক সে
করেছে কলঙ্কিত,
বিষাক্ত ছোবলে সে করেছে
বন্ধুত্ব প্রশমিত।
ছদ্মবেশের আড়ালে সে
খুঁজে নিয়েছে স্বজন,
আমাদের মাঝে তৈরি করেছে
দূরত্ব হাজার যোজন।
কত দক্ষতায় করেছে সে
হিসাব লাভ আর ক্ষতি,
সে কি ভেবেছে তাকে ছাড়া
নাই আমাদের গতি?
সে ভেবেছে করে ফেলেছে
দারুণ বাজিমাত,
নিজের কাজে একদিন সে
হবেই কুপোকাত।
বহুদিন থেকে সে আমাকে
দিয়ে এসেছে ধোঁকা,
তখন বুঝিনি, আজ বুঝেছি
আমিএ ছিলাম বোকা।
তোরা ভেবেছিস হয়ত আমি
কিছুটা বদলে গিয়েছি,
আগেও যেমন ছিলাম আমি
এখনও তেমনি আছি!
জীবনে যখন ঘনিয়ে এল
দুঃখের কালো রাত,
তোরাই তখন বাড়িয়ে দিলি
বন্ধুত্বের সেই হাত।
বর্তমানকে সাথে করে
অতীত গিয়েছি ভুলে,
মনে করতে চাই না কিছু,
এত ভাবলে কি আর চলে?
উলটা-পালটা প্যাঁচাল পেড়ে
নষ্ট করলাম সময়,
লেখাটা পড়া হলে পরে
মারবি না তো আমায়?
আমাকে তোরা বন্ধু করে
তোদের কাছেই রাখিস,
তোরাই আমার বন্ধু ছিলি
তোরাই বন্ধু থাকিস।