অলস ঘুমের মাত্রা হয়ে যাচ্ছে ক্ষীণ,
নব চেতনা অন্ধকার থেকে পেলো দিন।
ফাঁটলের তীব্র শব্দে কানে ধরে যায় তালা,
ভয়ের জগতে ধরিয়ে দিচ্ছে এক জ্বালা।
আচ্ছন্ন মন এখন পেতে চাইছে মুক্তি,
দুর্বল কায়া শুনতে চাইছে না কোন যুক্তি!
চোখের পাতা কিছুতে খুলতে নাহি চায়,
সুতীব্র আঁধার দৃষ্টিকে ছাড়িতে নাহি দেয়!
আশান্বিত মন বলে ওঠে, ঐ কি আলোকছটা?
দৃষ্টিসীমায় যখন তা আনে আশার ঘনঘটা।
কল্পনার সুতোয় বোনা রয়ে গেছে বিচ্ছিন্ন স্বপ্ন,
চিৎকার দিলাম কারন আমি যে ছিলাম আত্মমগ্ন!
অযথাই নীল আলোর প্রখরতা বাড়ছে ধীরে ধীরে,
স্মৃতির পাতা হামাগুড়ি দিয়ে এসে আমার হাত ধরে!
রহস্যময় কিছু রেখা আমার শয্যায় উঠলো নড়ে,
ভেঙ্গে পড়া চিন্তা ক্ষণে ক্ষণে হাজির হয় মুচড়ে!
কত প্রশ্ন এসে ভিড় করে বিদ্ধ করে আমার অস্তিত্ব,
অতীতকে জাগিয়ে ছিন্ন করে ভবিষ্যতের আমিত্ব।
আকস্মিক পর্দার মাঝে আমি দেখলাম সে চেহারা
আমার ভালবাসার কথিকা! কেউ পায়নি যার দেখা।
একই সুর বেজে চলেছে দুইটি ভিন্ন জগৎ জুড়ে,
আমাদের কথা দুর্ভাগ্য আজ দূরে দিয়েছে ছুড়ে।
সময়ের অপচেষ্টা তোমাকে করতে পারেনি দূর,
অন্তরে যে আঁকা আছে ছবি, সেটা আমার বন্ধুর!
প্রথম প্রভাতের শিশিরের মত তোমার আমার আশা,
জিলিয়ন দশকেও তোমার জন্য কমবে না ভালবাসা।