মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু স্মৃতি তুলে রাখি। সবকিছু যে একদম কালোত্তীর্ণ কিছু হতেই হবে এমন তো কোন কথা নেই। আমাদের জীবন যেমন অতি সাধারণ তেমনি আমাদের স্মৃতিকথাও খুবই সাধারণ। এখন আমি উল্লেখ করবো একটি অদ্ভুত বাড়ির নাম নিয়ে। গতকাল দেখেছি। গতকাল যেতে হয়েছিল এক বাসায়, মিরপুরেই। ব্যবসার এক প্রয়োজনে। সেখানে আমাদের নির্দিষ্ট বাড়ি খুঁজে পেতে গিয়ে চোখে পড়লো আরেকটি বাড়ির নাম ফলকের দিকে। অনেকেই তাদের শখের বাড়ির একটা নাম রাখেন। কিছু কিছু নাম যেমন অর্থবোধক হয় শুনতেও ভাল লাগে। যেমন আমার বড় খালার আগের বাসার নাম ছিল “নীলাঞ্জনা”! আমার তো কোন নিজের বাড়ি নেই। মাথা গোঁজার মত একটা ঠাই হয়েছে একটা ফ্ল্যাট এ। আমি যদি এখন আমার ফ্ল্যাটের একটা নাম রাখি তাহলে কি সেটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে? আমি ছোট মানুষ বলে কি আমার কোন শখ আহ্লাদ থাকতে নেই। মনে মনে আমি একটা নাম ঠিক করে রেখেছি। এই লেখায় হয়। অন্য কোন লেখায় হয়ত এসে যাবে সেই কথা।
যা বলছিলাম সেখান থেকে সরে গেলাম। গতকাল আমার দেখা অদ্ভুত একটা বাড়ির নাম সম্পর্কে বলছি। মার্বেল পাথরে খোঁদাই করে সুন্দর করে লেখা ছিল “রুরিস্মৃ”! এটাই ছিল সেই বাড়ির নাম। প্রথমে পড়ে মনে করছিলাম কোন অজানা বাংলা শব্দ কিনা। পরে মনে হল এমন কোন শব্দ বাংলায় মনে হয় নেই। আমি অবশ্য সার্চ করে দেখিনি। পরে মনে হলো, এটা নিশ্চই তিন জনের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে বানানো। কেন মনে হলো তাও করতে পারছি না। যাই হোক “স্মৃ” দিয়ে কেমব একটি মানুষের নামই মাথায় আসে, তা হলো “স্মৃতি”! কিন্তু রু আর রি দিয়ে ছেলে মেয়ে অনেকের নামই হতে পারে। আমার এই সব ভাবনা নিতানতি অর্থহীন। এর কোন মানেই নেই। এই রহস্য সমাধান করতে হলে “রুরিস্মৃ” তে গিয়ে বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে। তার কি কোন দরকার আছে? মন তো কত কিছু নিয়েই ভাবে। মন তার মত ভাবতে থাকুক। রুরিস্মৃ তে বসবাস করা সব মানুষ ভাল থাকুক। কালকে থেকে কেন জানি এই নামটা মনে মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই বৃশ্চিক অভিধান এ তুলে রাখলাম।