কবিতা না গল্প? গল্প না কবিতা?
আলসেমির চাদর সরাতে গিয়েও সরাই না
তখনও বালিশে মাথা!
ওয়াড়ে এখনও লবণের দাগ দেখা যায়নি
লজ্জার মাউথ অর্গানটা নিরর্থক ফুঁকে যাই
ধূসর এলোমেলো শব্দগুলো দূষণ তৈরী করে
কারও নকশী কাঁথায় সেগুলো আবেগের ফোঁড় হয় না
শখের বাঁশিটাও কাল ভেঙ্গে ফেলেছি
শৈশব স্মৃতির কাল্পনিক রুমালে ভাঙ্গা টুকরোগুলো
এলোমেলো করে সাজিয়ে ঘুমিয়েছিলাম।
সূর্যকে বড় হিংসে হয় আমার
কি সুন্দর সাদা কালো জ্যোৎস্নার চাদর মুড়ে ঘুমায়
আমি অপেক্ষা করি, কুয়াশা আসবে
আকাশ থেকে না হোক, চামড়া থেকেই আসুক!
বালিশ থেকে মাথা উঠাতে গেলাম যেই
বাঁশির ভাঙ্গা টুকরো গুলো আক্ষেপ করে বললো
তোর রক্তের বিশুদ্ধতা কই?
এরপর একটু বুঝি হাসলো ব্যঙ্গ করে
হয়তো আমি ভুলই শুনেছি মিথ্যে স্বপ্নের ভ্রম ব্যঞ্জনে
উঠে বসলাম কোনমতে
বেছে বেছে একটা ভালও জামা খুজতে গিয়ে শুনলাম
পেছন থেকে কে যেন বলছে
‘তুই রাজনীতি করিস’!
ঘাড় ফিরিয়ে তাকালাম-
সূর্যের ঘুম ভেঙেছে
হলদে একটা শেরওয়ানী পরেছে
আর আমার ঘরের কোনায় কোনায়
মাকড়শার ছেড়ে যাওয়া জালগুলো
নতুন আলোর জন্য একটা কাজ খুঁজছে