সম্বোধন ছাড়া চিঠি দিলেও
এটা যে তোমাকেই লেখা সেটা
আমার সর্বান্তকরণ যেমন যানে,
তেমনি জানো তুমিও।
কিছু কথা যে বলার ছিল-
হয়তো বলতে পারো, আর কি কথা
প্রতিদিনই তো কথা হচ্ছে, প্রকাশ্যে
কখনও কি-বোর্ড দিয়ে, কখনও মুঠোফোনে
এরপরও কি কথা থাকতে পারে?
এক অনির্বচনীয় সন্ধ্যার আড়ালে
নিজেকে আড়াল করতে চেয়েও পারিনি
আর কতকাল বুভুক্ষের মত চেয়ে থাকবো
সেই রাস্তার পানে-
যে রাস্তায় তুমি হাসিমুখে বিদায় নিয়ে চলে যাও!
পিছু ফিরলে দেখতে পেতে কিভাবে আমি তাকিয়ে থাকি।
তোমাকে একটা আকাশ দেবো, নেবে?
ওটাকে ফ্রেমে আটকে এঁকো তোমার যা খুশি
কখনও জলরঙ দিয়ে কখনো শুধু
সাদাকালো চারকোলের পেন্সিল গুলো দিয়ে-
তবুও কিছু এঁকো! যা হোক একটা কিছু
‘আঁকতে পারি না’ বলে উড়িয়ে দিও না
আমি কিন্তু মানবো না।
তোমাকে একটা পাহাড় দেবো, নেবে?
বুনো বুনো ফুলে ফুলে ভরা
অপার্থিব সুরের দোলায় যেথা দোলে পাতারা
যেখান থেকে মনে হয় আকাশটা বুঝি খুব কাছে
হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়
এপাশ থেকে ওপাশে, সারাদিন নিরবধি লুকোচুরি
আলো ছায়া আর সেই সাথে কিছুটা মায়াভরা
ছোট্ট একটা পাহাড় দেবো, নেবে তুমি?
তোমাকে একটা সমুদ্র দেবো, নেবে?
যতদূর যেতে চাও যেতে পারবে
গভীর থেকে গভীরে
একদিন তুমি বলেছিলে না,
তুমি সমুদ্র পছন্দ করো?
তেমন একটা সমুদ্র দেবো তোমাকে
যেখানে প্রতিনিয়ত তুমি দেখবে লবণ পানির
শান্ত সমাহিত পতন!
কখনও উত্তাল, কখনো শান্ত
কখনো শুধু বাতাসের নীরব বয়ে চলা
আকাশের প্রতিফলন বুকে নিয়ে
এক বুক নিঃশ্বাস গোপন করা
গভীর এক সমুদ্র!
নেবে তুমি?
আমার যে আর কিছু দেবার নেই
সম্পদ বলতে তো এইটুকুই
যা ছিল, সবই দেবো তোমাকে
যদি চাও তো সবগুলো নিয়ে যেও!
শুধু চলে যাবার আগে
একবার পিছু ফিরে দেখো
মাত্র একটা কথা বলার ছিল
কত যে বাধা অতিক্রম করেছি
তবুও বলতে গিয়ে আটকে গেছি
তোমাকে অনেক ভালবাসি-
শুধু এইটুকুই বলতে পারিনি।